তাওহিদ মানুষের শুধু এ-স্বীকৃতি প্রদানের নাম নয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো স্রষ্টা নেই এবং আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর মালিক ও প্রতিপালক। কারণ, এতটুকু স্বীকৃতি আরবের মূর্তিপূজারীদের মধ্যেও ছিল, অথচ তারা ছিল মুশরিক।
মূলত তাওহিদের জন্য উক্ত স্বীকৃতির পাশাপাশি এমন কিছু বিষয় থাকাও আবশ্যক, যার অসিলায় গুনাহ থেকে বিরত থাকা যায় এবং একই গুনাহে বারবার পতিত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়; যেমন, আল্লাহকে ভালোবাসা, তাঁর আনুগত্যে পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা এবং সর্বোপরি সকল আচরণ-উচ্চারণের মাধ্যমে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করা।
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র সাক্ষ্যদান বাস্তবায়নের দাবি হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহর জন্যই মানুষকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই তাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করা, আল্লাহর জন্যই বন্ধুত্ব করা এবং একমাত্র আল্লাহর জন্যই শত্রুতা করা; সর্বোপরি তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা এবং তাওহিদের বিপরীত সকল প্রকার শিরক থেকে বেঁচে থাকা।
মুসলিম উম্মাহর মাঝে আজ দেখা দিয়েছে আত্মপরিচয়ের বিস্মৃতি। মুসলিমরা দিকভ্রান্তের মতো শিরকের অলিগলিতে ছুটে বেড়াচ্ছে। এ অন্ধকার থেকে বের হয়ে জীবনের সঠিক পথ পেতে এবং পরকালীন উন্নতি অর্জন করতে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অবশ্যকর্তব্য হলো—কালিমায়ে তাইয়েবার বিশ্লেষণ ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা। তাদের উদ্দেশ্যেই আমাদের এই প্রয়াস।
লেখক পরিচিতি
মুহাম্মদ বিন সাঈদ কাহতানি ১৯৫৬ সালে সৌদি আরবের সারাত উবাইদায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়াহ মাস্টার্স এবং ১৯৮৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি উসুলুদ-দীন ওয়াদ-দাওয়াহ অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ও কিরাত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একজন শরিয়াহ আইনজীবী ছিলেন। মক্কা মুকাররামার আবু বকর সিদ্দিক মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে তিনি সাত বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাওলানা মুহাম্মদ মানজুর নোমানী (১৫ ডিসেম্বর ১৯০৫-৪ মে ১৯৯৭) ছিলেন একজন ভারতীয় আলিম। ১৯২৭ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফারেগ হন। দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় তিনি শায়খুল হাদিস হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪১ সালে তিনি জামাত-ই-ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন এবং উপ-আমির পদে নির্বাচিত হন। তবে ১৯৪২ সালে মওদুদির সাথে মতবিরোধের পর তিনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভির তাবলিগ জামাতের সাথে যুক্ত হন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিস-ই-শুরা এবং মজলিস-ই-আমিলাহ-এ কর্মরত ছিলেন এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সদস্য ছিলেন।
Reviews
There are no reviews yet.