হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেন- রাসূলে কারিম সা. বলেছেন, ‘হাজরামাউত নদির দিক থেকে কিয়ামতের পূর্বে একটি অগ্নি বের হবে যা মানুষদেরকে সমবেত করবে। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তখন আমরা কি করবো? আমাদেরকে বলে দিন। তখন রাসূল সা. বললেন, তোমরা শামদেশে চলে যাবে।’ [জামেউত তিরমিযি- ২১৪৩]
রাসূলে কারিম সা. আগুন বের হওয়ার সময় শামদেশে চলে যাওয়ার জন্য ইশারা করেছেন। কারণ, তিনি জানতেন যে, শামদেশই হলো অন্যান্য স্থান থেকে মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম ও নিরাপদ স্থান। আর ইশারা প্রদানকারী আমানতদার হয়ে থাকে। [তারগিবু আললিল ইসলাম- ৪]
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল শক্তিশালি সনদে হযরত মুআবিয়া ইবনে হায়দাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি নবি কারিম সা. থেকে বর্ণনা করেন- “তোমাদেরকে এখানে সমবেত করা হবে- এই বলে রাসূল সা. হাত দিয়ে শামের দিকে ইশারা করেছেন, এবং বলেছেন এখানে কেউ আসবে পায়ে হেঁটে, কেউ আসবে আরোহণ করে। কেউ কেউ এখানে এসে সমবেত হবে হামাগুড়ি দিয়ে।” [ মুসনাদে আহমাদ- ১৯৫২০]
আল্লামা হাফেয ইবনে কাসীর রহ. বলেন, এভাবে একত্রিত করা বা সমবেত করার দ্বারা বোঝা যায়, এই হাশর হলো পৃথিবীর হাশর তথা দুনিয়ার শেষলগ্নে গোটা দুনিয়ার মানুষ জড়ো হওয়ার স্থান। তারা হবে তিন শ্রেণির লোক: এক ধরনের লোক এমন হবে, যারা পোশাক পরিহিত অবস্থায় খেতে খেতে আরোহণ করে আসবে। দ্বিতীয়. যারা কখনো পায়ে হেঁটে কখনো আরোহণ করে আসবে। আর তারা একটি বড় উটকে অনুসরণ করে আসবে……। বাকী সবাইকে আগুন সমবেত করবে। এই আগুন বের হবে ক্বা‘রে আদান থেকে। মানুষকে পিছন দিক থেকে বেষ্টন করে নেবে এবং সবদিক থেকে ধাওয়া করে তাদেরকে মাহশার তথা সমবেত হওয়ার স্থানে জড়ো করবে। আর যারা পিছনে থেকে যাবে তাদেরকে আগুনে খেয়ে ফেলবে অর্থাৎ জ্বালিয়ে দেবে। এসব থেকে একথাই বুঝে আসে যে, এটি ঘটবে শেষ যামানায় অর্থ্যাৎ দুনিয়ার শেষলগ্নে। [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১৯/৩৩২]
.
শামকে কেন্দ্র করেই শেষ যামানায় যাবতীয় ফেতনার সূত্রপাত ঘটবে। শামই হবে মুসলিমদের ঘাটি। সেই শামের ব্যাপারে নবিজির ভবিষ্যৎবাণীগুলোই বক্ষমাণ গ্রন্থে সংকলন করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.