তখন চলছিল ভারত সম্রাট শাজাহানের রাজত্ব। শাজাহান হলেন জাহাঙ্গীরের পুত্র এবং আকবর বাদশাহের পৌত্র। তিনি হুমায়ূনের প্রপৌত্র এবং তৈমুরের বংশধর, সেই বিখ্যাত আমির তৈমুর, যাঁকে আমরা ‘তৈমুর লং’ বা ‘খোঁড়া তৈমুর’ বলে জানি। তৈমুর ও চেঙ্গিস খাঁর সংমিশ্রিত বংশধরদেরই ‘মোগল’ বলা হয়।
মোগল সম্রাজ্য ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসের এক অনন্য নাম। দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প সংস্কৃতিতে রয়েছে এই সম্রাজ্যের বিস্তর অবদান। জ্যোতির্বিজ্ঞান, অ্যালকেমি সহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারায় রয়েছে মোগলদের ঐতিহাসিক পদচারণা। ভারত উপমহাদেশের স্তাপত্যগুলোর দিকে তাকালে প্রমাণ মিলে মোগলদের ঐতিহাসিক উপখ্যানের।
ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়েরের ভ্রমণবৃত্তান্তে রয়েছে মোগলদের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গভীর উপলব্ধি ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যবেক্ষক হিসেবে বার্নিয়ের বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন অংশের মানুষের আচার-আচরণ, সামাজিক রীতিনীতি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক অবস্থা সতর্কতার সঙ্গে লিখেছেন। সম্রাট শাজাহানের পুত্রদের মধ্যে উত্তরাধিকার যুদ্ধে দারাকে বন্দি করে কুচকাওয়াজ সহকারে অসম্মানজনকভাবে রাস্তা দিয়ে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, বার্নিয়ের সে সময় দিল্লিতে অবস্থান করেছিলেন। ভারতে তিনি প্রায় ১২ বছর অবস্থান করেছিলেন। সে সময় তার ভ্রমণবৃত্তান্ত ফারসি ভাষায় রচিত হয়েছিল। ১৯৮১ তে তা ইংরেজিতে অনূদিত হয়, সেখান থেকেই এই বিখ্যাত বইটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
Reviews
There are no reviews yet.