তাজওয়িদ শাস্ত্রে ওয়াজিব গুন্নাহ নামে একটা টার্ম আছে। আমি জীবনের প্রথমদিকে বড় একটা সময়জুড়ে ভাবতাম এটা শার’ঈ ওয়াজিব, না করলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে। অনেক পরে গিয়ে বুঝেছি যে এটা শার’ঈ ওয়াজিব নয়, শাস্ত্রীয় ওয়াজিব। তাজওয়িদ শাস্ত্রের মতো একটা পূর্নাঙ্গ শাস্ত্র গড়ে উঠেছে কেবল কুরআন পাঠের সৌন্দর্য নিশ্চিত করার জন্য। দেখুন সাধারণ আরবি বলার সময় কিন্তু এই একই আলিফ বা তা সা দিয়েই ভাষাটা উচ্চারিত হয় , কিন্তু সেখানে এই মাদ্দ—গুন্নাহর কোনো ব্যাপার নেই।
আমাদের হাফেজরা সবাই কমবেশ এই শাস্ত্রের বিষয়ে জানেন, তবুও তারাবীহ সালাতে কুরআন খতমের নামে এভাবে কুরআনকে খতম করার কালচার কীভাবে গড়ে উঠল!
এর জন্য কারা দায়ী? হাফেজরা? নাকি সাধারণ মানুষ! হাফেজ আলিমরা চাইলে কি এর কোনো প্রতিকার করতে পারতেন না? মসজিদ তো তাদেরই নিয়ন্ত্রনে। তাদের কি এতটুকু ব্যক্তিত্ব, আত্মসম্মান, লিডারশিপ কিংবা ধর্মীয় গাইরাত নেই যে এখানটাতে তারা এতটুকু বিষয় প্রতিষ্ঠিত করবেন? এতটুকু গাট যদি না থাকে তাহলে সমাজ বদলের আশা আমরা তাদের দিয়ে কিভাবে করি?
আজ এই প্রসঙ্গে কিছু গল্প বলব জীবন থেকে, একেবারে নিজের জীবন থেকে। কারো ভালো লাগবে কারো হয়ত ভালো করে গায়ে লাগবে। তবু হয়ত কিছু শিক্ষা থেকে যাবে। আমাদের যদি সত্যিই আত্মসমান থাকে তো সমাজ আমাদের সম্মান দিতে বাধ্য হবে; আর যদি তা না-ই থাকে তবে ফাপা হুংকার দেওয়া বন্ধ করা উচিৎ। এতে অপমানিত হওয়ার সম্ভাবনাই বৃদ্ধি পাবে। ………আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগের কথা। আমার বয়স তখন চৌদ্দ পনের’র মতো হবে। তখন আমরা যেখানে থাকতাম সেটা ছিল কিছুটা শহরতলি ধরণের। আমাদের মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে আমার বেশ ভালো একটা সম্পর্ক। আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যে আসেনও।আমি বয়সে বেশ ছোট হলেও তিনি কেমন যেন একটা সম্মান-মিশ্রিত স্নেহ করেন। একবার, তিনি তার গ্রামের বাড়ি যাবেন। আমাকে অনুরোধ করলেন, শুক্রবার জুম’আর নামাজটা একটু পড়িয়ে দিতে। ওনার শুক্রবারে বাড়িতে থাকা জরুরি।
এমনিতেও আমার বয়স কম। তাছাড়া ইমামতির দায়িত্ব কোনো এক অজানা কারণে এড়িয়ে চলতাম। রমজানের এই তারাবীহ ছাড়া মসজিদের মিম্বারের দিকে যেতাম না। কিন্তু তার উপকারের কথা ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। স্বাভাবিক কারণেই ভেবেছিলাম, তিনি নিশ্চয়ই মসজিদ কমিটিকে বলে গেছেন। কিন্তু শুক্রবার মসজিদে গিয়ে বুঝলাম, তিনি অফিশিয়ালি তেমন কিছু বলে যাননি। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে হয়ত জানিয়ে গিয়েছেন।
লোকজন মোটামুটি এসে পড়েছে। এদিক-সেদিক তাকাচ্ছে ইমাম কোথায়, কে নামাজ পড়াবে। এর মধ্যে দারাজ কণ্ঠে সভাপতি সাহেব বলে উঠলেন, “নামাজ কে পড়াবে আজ? আমি বললাম, ‘আমি পড়াবো, ইমাম সাহেব আমাকে বলে গিয়েছেন’। একই মহল্লায় আমাদের বাড়ি। সভাপতি সাহেব অল্পবিস্তর চেনেন ও জানেন আমাকে। কিন্তু আজ কেমন যেন না চেনার ভান করলেন। সম্ভবত বয়সের কমতির কারণে কিছুটা তাচ্ছিল্লের স্বরে বললেন, “নামাজ পড়াইতে হইলে তো আগে ইন্টারভিউ দিতে হবে”। আমিও কেন যেন আর কম্প্রোমাইজ করলাম না। যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেতুল মেরে দিলাম সাথে সাথে। বললাম, ভালো, ইন্টারভিউটা কে নেবে শুনি এখানে? আপনি নিবেন? আমার তো ত্রিশ পারা মুখস্ত আছে, মাদ্রাসাতে পড়ি, কমবেশ মাসআলা মাসায়েলও জানা আছে। এবার আপনার কয় পারা মুখস্ত আছে আর ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া কদ্দুর করেছেন বলেন।
এরপর একটু ঔদ্ধত্যের সাথেই বলেছিলাম, “আমি যে মসজিদে এই বয়সে নামাজ পড়িয়েছি সেই মসজিদে যতজন মানুষ বাথরুমে লাইন দিয়ে থাকে আপনার এই মসজিদে তো সেই ক’জন মুসল্লিও নেই, আপনি আমার কিসের ইন্টারভিউ নিবেন!”
ভদ্রলোক যারপনাই হতভম্ব হয়ে গেলেন। হেসে উড়িয়ে দিয়ে ‘ভাতিজা রাগ হইলা কেন’টাইপ কথা বলে পরিস্থিতি নরমাল করার চেষ্টা করলেন। চালাক মানুষ। হয়ত বুঝতে পেরেছেন সহজেই, আগে বাড়লে খবর আছে।
কিশোর বয়সের কিছুটা ড্যামকেয়ার ভাব আর ফটাস ফটাস কথা বলার স্বভাবের ছাপ আমার আচরণে থাকলেও এর পেছনে একটা সুপ্ত ক্ষোভ ছিলো। এখন বুঝি এটা অনেকটা যৌক্তিকও বটে। যে সভাপতি আমার ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছিলেন তিনি ছিলেন এলাকার বিখ্যাত একজন সূদখোর। তার পেছনে লোকেরা তার নামের সাথে সূদখোর শব্দ যোগ করে ডাকত।
আমার দ্বন্দের জায়গাটা ছিলো এমন যে, একজন প্রকাশ্য সূদখোর ফাসিক একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে তাচ্ছিল্ল করছে। এই সুযোগ তাকে দেওয়া হবে না, শক্তভাবে প্রতিরোধ করা হবে, এবং সাথে সাথে। এই ব্যবচ্ছেদ সেই কিশোর বয়সে হয়ত আমার সামনে এত নিপুণভাবে স্পষ্ট ছিল না, তবে এখন বুঝি ব্যাক ইন দ্য মাইন্ড এটাই ছিল আমার এই শক্ত অবস্থান নেওয়ার পেছনে মূল কারণ।
এবার বাথরুমে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার মতো পিকিউলিয়ার কথাটা যে মসজিদে নামাজ পড়ানোর কারণে বলেছিলাম সেটার একটা গল্পটা বলি। এটা আমাদের বিভাগীয় শহরের অন্যতম বড় মসজিদ। সে মসজিদে চৌদ্দ বছর বয়সের এই কিশোরের নামাজ পড়ানোর কথা না। কিন্তু সেই মসজিদের খতিব সাহেবের সাথে আমার হিফজ উস্তাদের বিশেষ সুসম্পর্ক, আর আমার ইয়াদের ব্যাপারে আমার উস্তাদের আস্থাই ছিলো এই সুযোগ পাওয়ার মূল কারণ।
সারা মাস বেশ সুনামের সাথেই নামাজ পড়ালাম। শেষের দিন এক আজব ঘটনা ঘটল। প্রথমে সূরা কাফিরুন পড়ার সময় হাফেজ সাহেব লোকমা দিলেন, (লোকমা মানে নামাজে ভুল হলে পেছন থেকে শুধরে দেওয়া)। তিনি ছাড়াতে পারছেন না দেখে ইমাম সাহেবও লোকমা দিলেন।
কোনোমতে টেনেটুনে সালাম ফেরালাম। এরপর একেবারে শেষের সময়, সূরা ফালাক্ব আর পড়তেই পারছি না যেন। হাফেজ সাহেব, ইমাম সাহেব, মুয়াযযিন সাহেবও লোকমা দিলেন। যেন এক এক আয়াত বলে দেওয়ার পরও পড়তে পারছিলাম না। আমার নিজের অবস্থা আর না-ই বললাম, সব মুসল্লীরাও তাজ্জব। গোটা রামাদানে মাত্র মনে হয় দুইবার পেছন থেকে বলে দিতে হয়েছিল; অথচ কাফিরুন আর ফালাকে এই অবস্থা!
নামাজ শেষে খতিব সাহেব একান্তে ডেকে নিয়ে বললেন, “দেখো, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য আজীবনের এক শিক্ষা ছাড়া কিছু না। আল্লাহর কালাম কেউ নিজ ক্ষমতায় হৃদয়ে রাখতে পারে না; আল্লাহ তাঁর ইচ্ছায় যার মধ্যে চান রাখবেন, যার কাছ থেকে চান উঠিয়ে নেবেন; তিনি না চাইলে তুমি সূরা ফালাক্বও পড়তে পারবা না। এটা মনে রাখবা, কখনও অহংকার করবা না, ইখলাস বজায় রাখবা”।
কেন কয়েক যুগ আগের ব্যক্তিগত এই গল্পগুলো বলছি এবার সেই গল্পে আসি। আমাদের মহল্লার এই মসজিদে ইমাম সাহেব নিজেও হাফেজ, তারাবিহর জন্য আরও দুজন হাফেজ রাখা হয়েছে। প্রথম দিন নামাজ পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। এত দ্রুত পড়ল যে মনে হচ্ছিল কুরআনের সাথে কুস্তি চলছে। দ্রুত পড়ার সাথে যদি কম ইয়াদ যুক্ত হয় তাহলে কি যে একটা মারত্মক অবস্থা তৈরি হয় তা কেবল হাফেজরাই বোঝেন। পেঁচিয়ে এখান থেকে ওখানে, ওখান থেকে সেখানে, এই কখনও আয়াত বাদ কখনও শব্দ। শেষ পর্যন্ত একটা গোজামিল দিয়ে লম্বা একটা টান মেরে রুকুতে। অবস্থাটা এমন যেন নামাজে ভুল হলে তার মান-ইজ্জত কিছুই থাকবে না।
আমাদের এই তিনজন হাফেজের একজন—যিনি মসজিদের স্থায়ী ইমাম—প্রতিদিনই দু’চার রাকাতে এমন করেন। অন্য দু’জন হাফেজকে কখনও লোকমা দিতে দেখি না। তো একদিন জিজ্ঞেস করলাম, কী লোকমা দেওয়া নিষেধ আছে নাকি? ছোট হাফেজ সাহেব চূপচাপ। সম্ভবত অস্থায়ী দু’জনের রিক্রুটমেন্টে তার ভুমিকা আছে। তাই রিক্রুটকারীর মান-ইজ্জত রক্ষার ব্যাপারে তারা হয়ত কমিটেড।
এই যে নামাজে তিলাওয়াতে ভুল হলে লোকমা দিলে সেটাকে নিজের প্রেস্টিজ ইস্যু মনে করাটা কিন্তু একটা আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসহীনতার প্রমাণ। আমি মসজিদে নববীর মাগরিব সালাতের ছোট্ট সূরাতেও ইমামকে কুরআন ভুলে যেতে দেখেছি এবং পেছন থেকে বলেও দেওয়া হয়েছে।
আত্মমর্যাদাহীন মানুষ এমন কাজে নিজের ইজ্জত হারানোর শংকায় ভোগে যেটার সাথে ইজ্জত হারানোর কোনো সম্পর্কই হয়তো ছিল না; আবার অনেক নীচ কাজ অবলীলায় করতেও তাদের আত্মসম্মানে লাগে না। সভাপতির যে অন্যায় নির্দেশ পালন ছিলো চরম অবমাননাকর সেটাকে তারা মোটেই অসম্মানজক মনে করছে না, কিন্তু তিলাওয়াতে লোকমা খাওয়াকে তার ইজ্জতের ব্যাপার মনে করছে।
আমি অবশ্যই বলছি না ব্যতিক্রম নেই, অবশ্যই আছে; তাদের প্রতি স্যালুট। তবে সেটা এত কম যে তা আর গোনায় ধরা যাচ্ছে না; সেটা আমাদের সমাজ জীবনে প্রভাব সৃষ্টি করার মতো সংখ্যায় নয় একদমই, বরং একেবারেই নগণ্য। আর নগণ্যতা অস্ত্বিত্বহীনতার মতোই। যেটা মেইন্সট্রিম সেটাই আলোচ্য বিষয়।
যাই হোক, কিছু বললাম না। চারিদিকের অবস্থা তো সুবিধার না। বাবা-মা, পরিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে, কোথাও কোনো কথাবার্তা বলা যাবে না। সহ্য করলাম। পরদিন মসজিদের সভাপতি সাহেব নামাজের আগে ইমামদেরকে আরও দ্রুত পড়ার তাগিদ দিলেন। বললেন, সৌদি আরবে নাকি তারাবীহ অর্ধেক করে দিছে। আরও দ্রুত শেষ করতে হবে, নইলে সমস্যা আছে।
ইমাম সাহেবগণ সভাপতির কথা রাখার জন্য যে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তা বুঝানোর কোনো সুযোগই হাতছাড়া করলেন না। কিরাতে, রুকুতে, সিজদাতে, সব জায়গায় গতি যতদূর সম্ভব বাড়িয়ে দিলেন। দাঁতে দাঁত কামড়ে ১২ রাক’আত পড়ে বাসায় চলে এলাম। আর সহ্য করতে পারছিলাম না নামাজের সাথে এই কুস্তি, কুরআনের সাথে এই ঝগড়া।
ভাবলাম, আমার মনের কথাগুলো ইমাম সাহেবদের সাথে শেয়ার করি; ওনারা তো আমাদেরই মানুষ, হয়ত অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু হয়ে উঠছিল না। সেদিন ফজরের পর কিভাবে যেন তিনজনকে একেবারে একা পেয়ে গেলাম। হুজুরদের বললাম, “আপনারা তো সমঝদার লোক, আপনাদেরকে সমঝ দেওয়ার মতো কিছু নেই। আচ্ছা আপনারা যেভাবে কুরআন তিলাওয়াত করছেন এটা কি ঠিক হচ্ছে?
তারা এক বাক্যে স্বীকার করলেন যে ঠিক হচ্ছে না। কেন করছেন সে কথা জিজ্ঞেস করে তাদেরকে ছোট করতে ইচ্ছে হলো না। কথাটাকে অন্যদিকে নিয়ে গেলাম। বললাম, এই আপনারাই হলেন এদেশে ইসলামী শক্তির বাস্তব প্রতিচ্ছবি; আর যে সভাপতি আপনাদেরকে ডিকটেট করছে তিনি কী তাও আপনাদের জানা। আপনারা এমন লোকদের কথায় আল্লাহর কুরআনের সাথে, সালাতের সাথে আদব রক্ষা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে কিভাবে অবহেলা করছেন?
ওনারা মাথা নিচু করেই শুনলেন। কোনো জবাব দিলেন না।বললাম, দেখুন আপনারা তিনজনই মূলত ইসলাম, আপনারাই ইসলামের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ইসলাম। ওয়াজের ময়দানের চিৎকার আর হুংকার একটা ফাপানো মেকি চিত্র। আপনারা এই মসজিদের গণ্ডির মধ্যেই যদি সেক্যুলারদের চোখে চোখ রেখে একটা অকাট্য সত্য বিষয়ে শক্ত অবস্থান না নিতে পারেন তাহলে কীভাবে হবে? মসজিদে তো আপনাদের একটা কর্তৃত্ব আছে; এটা আপনাদের এক্সপার্টিজ এর কোর ফিল্ড; আপনাদের তোয়াজ করতে এখানে তারা বাধ্য; ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনি রুখে দাড়ালে সে এসে নিজেই নামাজটা পড়িয়ে দিতে পারবে। আপনারা বলতে পারতেন, কুরআন নিয়মানুসারে যেভাবে পড়া উচিৎ সেভাবেই পড়া হবে; তারাবীহ ফরজ নামাজ নয়, যার যত রাকাত ভালো লাগে পড়বেন, কিন্তু কুরআনের সাথে বেয়াদবি করা হবে না।
ওনারা একটা রা শব্দও উচ্চারণ করলেন না।
শেষে একথাও বললাম যে, যত কমই হোক না কেন, যদি ন্যুনতম কোনো কর্তৃত্ব থাকে সেটা আপনাদের মসজিদ মাদ্রাসাতেই আছে। আপনাদের কর্তৃত্বের জায়গাটাতেই যদি আপনারা ন্যায় রক্ষার সময় বাতিলের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারেন, তাহলে রাজনৈতিক ময়দানে আপনারা কিভাবে বাতিলের মোকাবেলা করবেন? সেখানে তো আপনারা দুধভাত।
আর বলা যায় না। আমি “আপন মনে করে অনেক কথা বললাম, ভুলত্রুটি হলে মাফ করে দিয়েন” বলে উঠলাম।
আশায় বুক বাধলাম, ওনারা যেভাবে কথাগুলো মেনে নিয়েছেন আজ থেকে নিশ্চয়ই একটা চমৎকার কুরআন তিলাওয়াত পেতে যাচ্ছি।
কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। পরের দিন সেই একই অবস্থার পুনরাবৃত্তিই ঘটল। আমার মন কিছুটা হতাশায় ছেয়ে গেলো; আমি একদম চুপ হয়ে গেলাম।
ইমাম সাহেবদের সাথে প্রতিদিনই দেখা হয়, কিন্তু সালাম দেওয়ার সময় আর চোখে চোখ রাখতে পারি না। ওনারাও কেমন যেন একটা হাত কচলানো, অতি বিনয়ী ভাব নিয়ে থাকেন ।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
© আবু তাসমিয়া আহমদ রফিক
সিয়ান | বিশুদ্ধ জ্ঞান | বিশ্বমান