আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি প্রতিটি দম্পতির বইটি পড়া উচিত, এবং অবশ্যই বইটি পড়া জরুরি। কারণ দাম্পত্য জীবন হচ্ছে পরকালের পাথেয়, বিবাহ কে শরিয়তে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে। দাম্পত্য জীবন মানেই হচ্ছে, সুখ দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা, স্বামী রেগে গেছেন তো স্ত্রী চুপ থাকবেন,আবার স্ত্রী রেগে গেছেন তো স্বামী সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি শামলাবেন। কিন্তু বর্তমান সমাজের চিত্র পুরাই ভিন্ন। বিশেষ করে ঢাকা শহরের অবস্থা তো খুব ভয়াবহ। আমি যদি আপনাদের কে একটা রিপোর্টের কথা বলি,তাহলে যে কারো গা শিউরে উঠবে।
শুধু মাত্র ঢাকা শহরে, গত জুন থেকে অক্টোবর ৫৯৭০ টি তালাক পরেছে। উত্তর সিটিতে ২৭০৬ টি। আর দক্ষিণ সিটিতে ৩২৬৪ টি।
এবার চিন্তা করুন আমাদের সমাজের কি অবস্থা। সামান্য কিছুতেই আমরা সুন্দর সাজানো সংসার কে ভেঙ্গে চূরমার করে দিচ্ছি।
আসলে আমরা নারী পুরুষ উভয়েই, ধৈর্যের পরীক্ষায় হেরে যাচ্ছি, অথচ আমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হত, তারা কখনো সহসাই এত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেন না। তখন তারা কি করতেন, এসব বিষয় জানতে অবশ্যই আপনাকে বইটি পড়তে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবার দাম্পত্য জীবনকে, সুখময় করে দিন আমিন।
আব্দুর রহমান –
দাম্পত্য জীবন হলো একটি সুখময় পরিবার গঠনের প্রধান ভিত্তি। যা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য নেয়ামত স্বরুপ।
কিন্তু বর্তমান সময়ে সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ক্রমশ মায়া-মহব্বত হ্রাস পাচ্ছে। দূর্বল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন। প্রতিনিয়ত আশংকাজনক হারে বাড়ছে দাম্পত্য কলহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ। অবস্থা এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আজ বিলুপ্ত হতে বসেছে নৈতিকতা, মানবিকতা, মহানুভবতা, মননশীলতার মত বৈশিষ্ট্যগুলো। বর্তমান সমাজও অবাধ স্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের এই যুগে দাম্পত্য জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ।
তাহলে কেন এই সমস্যা? আর এর সমাধানই বা কিসে?
মুসলিমদের জীবিনের আদর্শ হিসেবে পরিগণিত নবী-রাসূলগণ দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীদের কিরুপ আচরণ করেছেন। যার ফলে তাদের জীবনে বয়ে যেত সুখ ও প্রশান্তির সুবাতাস?
বাংলাভাষী পাঠকদের এসব বিষয়ের প্রতি হাহাকার কাটাতেই মাকতাবাতুন নূর থেকে প্রকাশিত হয়েছে “স্ত্রীদের সাথে নবী ও মনীষীদের আচরণ” নামক এক অমূল্য বই।
যেটি লিখেছেন শাইখ ইউসুফ আবজাক সূসী । বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা যায়েদ আলতাফ।
.
➤ সার-সংক্ষেপঃ-
লেখক শাইখ ইউসুফ আবজাক সূসী বইটিকে সর্বমোট ৪৪টি শিরোনামে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। প্রতিটি শিরোনামে স্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন নবী রাসূল ও মনীষীগণ স্ত্রীদের সাথে কিরুপ আচরণ করেছেন এবং তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের সৌন্দর্য কেমন ছিল তা আলোচনা করে হয়েছে। শুধু তাই নয় মাঝে মাঝে তাদের নিয়ে মজার ঘটনাগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।
.
➤ বইটি আপনি কেন কিনবেন এবং পড়তে আগ্রহী হবেনঃ-
১। বইটির সবচেয়ে আগ্রহ জাগানিয়া দিক হলো এর বিষয়বস্তু। কভারে বইয়ের নাম দেয়া “স্ত্রীদের সাথে নবী ও মনীষীদের আচরণ”। বোঝাই যাচ্ছে বইটি দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীদের সাথে নবী রাসূলগণ ও মনীষীদের আচার-আচরণ কেমন ছিল তা নিয়েই লেখা হয়েছে । তাই বিষয়বস্তু জেনে প্রথমেই বইটি পড়ার প্রতি আগ্রহী হবেন বলে আমার বিশ্বাস ৷
২। বইতে সকলের জন্যই রয়েছে চিন্তার খোরাক। অনুপ্রেরণা ও অনুশীলনমূলক একটি বই। এটি এমন একটি বই যা নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য নয় বরং সকল মুসলমানদের সবসময়ের জন্যই জরুরী।
৩। বর্তমান সমাজের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই শোনা যায় ঝগড়া বিবাদ, সম্পর্কের টানাপোড়েন, স্বামী-স্ত্রীর কলহ ও পরস্পরের বিশ্বাসহীনতা, অবশেষে সংসার ভঙ্গার মত করুন পরিণতি। কিন্তু এর বিপরীতে নবী-রাসূল ও বিখ্যাত মনীষীগণ স্ত্রী সহ পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে এত সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেছেন এবং তাদের আচার আচরণই বা কেমন ছিল তার সবকিছু একমলাটে জানতে হলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
.
➤ বইটি যারা পড়বেনঃ-
বইটি মূলত স্ত্রীদের সাথে নবী ও মনীষীদের আচার আচরণ সম্পর্কিত বই। যা বিবাহিত পুরুষদের জিন্য বিশেষভাবে জরুরি। তবে অবিবাহিতরাও বইটি পড়লে নবী রাসূল ও মনীষীদের বিষয়ে অজানা অনেক কিছু শিখতে পারবেন এবং বিবাহ পরবর্তী জীবনের জন্য নিজেকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতে পারবেন।
.
➤ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
বইয়ের অনুবাদ বেশ সহজ ও সাবলীল হয়েছে। পড়ে মনে হয়না যে অনুবাদ পড়ছি। বরং মৌলিক লেখা বলেই মনে হয়েছে। লেখকের প্রতিটি আলোচনাই যেন মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত, প্রশান্তিময়। সুখপাঠ্য গদ্য ও অভিনব উপস্থাপন কৌশল পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এমন খুব কম বই আছে যার প্রতিটি বাক্য ভালো লাগার, প্রতিটি পাতায় মিশে থাকে জ্ঞানের ছোয়া ও শিক্ষণীয় মেসেজ এ বইটি তার মধ্যে অন্যতম।
তাই সকলের প্রতি অনুরোধ “স্ত্রীদের সাথে নবী ও মনীষীদের আচরণ” বইটি একবার হলেও পড়ুন। সেই সাথেনবী রাসূল ও মনীষীদের জীবনের বাস্তবসম্মত আচরণগুলো নিজ স্ত্রীদের সাথেও করতে চেষ্টা করুন। দেখবেন দুনিয়ার জীবনে আপনিই হবেন সর্বময় সুখের অধিকারী, ইনশাআল্লাহ।
Ruponti Shahrin –
বই- স্ত্রীদের সাথে নবি ও মনীষীদের আচরণ
লেখক- শাইখ ইউসুফ আবজাক সূসী
অনুবাদক- মাওলানা যায়েদ আলতাফ
দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রী-ই মূল বুনিয়াদ। এই সম্পর্কের ভিত মজবুত হলে গোটা সংসারটাই এক টুকরো জান্নাত হয়ে ওঠে। দুজনে দুজনার সহায়ক ও পরিপূরক। যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। দুজনার যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি রয়েছে অধিকার। আবার উভয়ের প্রতি রয়েছে বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সংসারে রাগ-অভিমান নিত্যনৈমিত্তিক ও স্বাভাবিক ব্যাপার। অভিমান কিংবা একটুতে ভেঙ্গে পড়া নারীর স্বভাবসুলভ একটি বৈশিষ্ট্য। নারীর অভিমানের পাল্লা ভারী হয়ে গেলে কিংবা পুরুষের বোঝার ভুলের কারণে তৈরি হয় ভুল বোঝাবুঝি। আর এভাবেই সম্পর্কের টানাপোড়নে বিচ্ছেদের মত নিকৃষ্ট বিষয়গুলো এখন প্রতিনিয়ত ঘটছে। একটু ভালোবাসা, ধৈর্য ও বাস্তবতা বদলে দিতে পারে সমাজের এই চিত্র। স্বামীকে ভালোবাসা স্ত্রীর কর্তব্য ও ইবাদাতের অংশ। এই দায়িত্ব কি শুধুই স্ত্রীর। নবী, রাসুলগণ (আঃ) ও মনীষীদের জীবনের নানা টুকরো ঘটনা ও শিক্ষা থেকে স্ত্রীর প্রতি আচরণের রুপরেখা জেনে নেয়া শ্রেয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পুরুষগণ নারীদের প্রতি দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ একের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ হতে ব্যয়ও করে।’ (সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)।
কুরআনুল কারীমে নারীদের প্রতি পুরুষদের আচরণের বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বহু আয়াত নাযিল করেছেন। সংসার টিকিয়ে রাখাকেও আল্লাহ পাক অধিক পছন্দ করেন। যদিও তালাক একটি অপছন্দনীয় হালাল। বিবাহ হলো অর্ধেক দ্বীন। আর বিবাহের পরেই বাকি অর্ধেক দ্বীন পালনের অঙ্গীকার শুরু হয়ে যায় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়ে। স্ত্রীর সকল ভরণপোষণ, দেনমোহর, সাংসারিক চাহিদা পূরণ তো আর্থিক দায়িত্ব। কিন্তু একজন নারীর মন সবসময় ভালোবাসা আশা করে। তার খেয়াল রাখা, তার পছন্দ, অপছন্দের হিসেব রাখা, স্বামীর সামান্য হাসিমুখের জন্য সে নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত।
আধুনিক সমাজে পুরুষেরা কর্মব্যস্ত। স্ত্রীর দিকে একটু সুন্দর করে তাকিয়ে মিষ্টি সুরে কথা বলার সময় নেই বললেই চলে। আর স্ত্রীরাও সংসারের নানা ঝামেলা সম্পুর্ণ একলা সামলে উঠে কেমন খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছেন। স্বামীর জন্য নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার অবকাশ নেই। দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকবে না, এটা অসম্ভব। মনমালিন্য, রাগ-অভিমান ঝেড়ে ফেলে জানতে হবে ভালোবাসার ম্যাজিক মসলা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য উত্তম। ’ -তিরমিজি
এখনকার স্বামীরাও স্ত্রীদের ভালোবাসের। কিন্তু আলেম, মনীষী, নবী-রাসুলগণের সাথে পার্থক্যটা কোথায়? আমাদের পূর্বসূরীরা ভালোবাসতেন আল্লাহর খুশির জন্য। আল্লাহ তায়ালা স্ত্রীকে ভালোবাসা ইবাদাতের শামিল বলে গণ্য করেছেন। স্ত্রীর প্রতি এই ভালোবাসা গভীর হওয়া উচিত। শুধু কাজে ও কর্মে নয়, বরং মুখেও প্রকাশ করতে হবে। স্ত্রীরা অন্তরের উপলব্ধির চেয়েও স্বীকারোক্তি পছন্দ করে।
পৃথিবীতে আল্লাহ পাক স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসাকে বিবাহের মাধ্যমে বৈধতা দান করেছেন। হারাম সম্পর্ক, ফিতনা থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন। আর এই মধুর সম্পর্ক আমাদের জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। তাই রক্ষা করার জন্য আচরণগুলো জেনে নেয়া আবশ্যক। সেই সকল আলোচনাই বইটিতে করা হয়েছে।
পাঠ পর্যালোচনা ও মতামতঃ
সম্পদের প্রাচুর্য আমাদের দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এত প্রাচুর্যের ভিড়ে সুখ-শান্তি আর বাসা বাধে না। নেই মায়া, নেই মমতার চাদর। আন্তরিকতা, অন্তরঙ্গতা, ভালোবাসা, সৌহার্দ, সম্প্রীতি, মূল্যায়ণ, কোমলতা দাম্পত্য জীবনে রুপকথার নামান্তর। বিলাসিতার নিচে যেন চাপা পড়ে গেছে হৃদয়ের সব সুর। স্ত্রী জানে না স্বামীর মনের খবর। স্বামী জানে না স্ত্রীর মনের অভিপ্রায়। কে কার কাছে কী চায়, কতটুকু চায় না- এ যেন অলীক, অবাস্তব, ধূসর গল্প। ইসলামী শরীয়াহ এই সম্পর্কে মধুর করতে কত রসদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে এ ধরণের একটি বই না পড়লে হয়ত অনেক পাঠক জানতেই পারবেন না।
ইসলাম দাবী করে নারীর পরিপূর্ণ অধিকার ও সম্মান শুধু ইসলামিক আইনই দিয়েছে। নবী-রাসুলগণ, মুসলিম মনীষী ও আমাদের পূর্বসুরীদের দাম্পত্য জীবনের এই খুঁটিনাটি গল্পগুলোই আপনার প্রেয়সীর মন জয় করতে সাহায্য করবে। স্ত্রীরা সংসারের অনেক দায়িত্ব সামলে নিয়ে সুখের নীড় তৈরি করেন। প্রত্যেকটি জিনিস মমতায় আগলে রাখেন। সকলের পছন্দ অপছন্দের খেয়াল রাখেন। স্ত্রীদের সাথে তাই স্বামীর চমকপ্রদ আচরণ করা কাম্য। স্ত্রীকে সম্মানজনক অবস্থানে রাখলে তিনি সত্যিকার অর্ধাঙ্গীনিতে পরিণত হতে পারেন।
এমনকি সংসার সুখের জন্য নারীপুরুষ দুজনের অবদান সমান। সেদিক থেকে নিজের পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য না দিয়ে ইসলামিক শিক্ষা হতে নিজের কল্যাণ ও মঙ্গল চিন্তা করে হলেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জোর চেষ্টা করতে হবে। স্ত্রীগণের যেসব বিষয় অপছন্দ সেগুলো না দেখে, গুণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। ভালোবাসার উপাদান তো অবশ্যই রয়েছে। যে স্ত্রী তার এতদিনের পিতৃলয় ছেড়ে, পেছনের সব সম্পর্ক ছেড়ে নতুন একটি সংসারের সদস্যদের আপন করে নিচ্ছে, তার দিকে করূণা নয়, প্রেমের দৃষ্টিতে দেখা সুন্নাহ। এক লোকমা ভাত তুলে দেওয়া সুন্নাহ। মুহাব্বতের আমলেও কত আশ্চর্যজনক সওয়াব হাসিল হচ্ছে।
আল্লাহ নারী ও পুরুষকে একে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আর পুরুষকে করেছেন নারীর কর্তা ব্যক্তি। তাই বৈবাহিক জীবনে গুরুদায়িত্বগুলো পুরুষের কাঁধে এসে পড়ে। এই চালিকাশক্তি হয়েও পুরুষকে ঘরের দিকটাও দেখতে হয়। নারীর অবুঝ মনের আড়ালে বেড়ে ওঠা শিশু সুলভ চরিত্রের পালে হাওয়া দিতে কর্তা ব্যক্তিটিকেই এগিয়ে আসতে হয়। কঠিন সময়ে ধরতে হয় হাত। ধৈর্য ধরে স্ত্রীর সমস্যা সমাধানে পাশে থাকাটাও অনেক চ্যালেঞ্জিং। আল্লাহ পাক বলেন-
“তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ করো,তবে এমন হতে পারে যে,আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখে দিয়েছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছো।” (সূরা নিসা : ১৯)
ধৈর্যধারণের পরেও সমাধানে না এলে শাসন বারণের কথাও উঠে এসেছে। কিছু স্ত্রীরাও পীড়াদায়ক। সেক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করলেও আল্লাহ পাক সেই স্বামীকে বিরাট প্রতিদান দিবেন। এমনকি অন্য ব্যক্তিকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে স্ত্রীর নিপীড়ন সহ্য করার উদাহরণও রয়েছে। হযরত নুহ ও লুত আঃ, ইব্রাহিম আঃ, ইউনুস আঃ, জাকারিয়া আঃ এবং সর্বপরি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে নজিরবিহীন ঘটনাপঞ্জি আপনার দাম্পত্য জীবনে নিয়ে আসবে অনাবিল শান্তি। বিভিন্ন বিশিষ্ট বুজুর্গ, বিখ্যাত শায়খ, আল্লাহর মারেফাত লাভকারী বুজুর্গ, দুনিয়াবিমুখ দার্শনিক সকলেই সংসার করেছেন। সংসারবিরাগী বা সন্ন্যাসী হওয়াকে ইসলাম প্রাধান্য দেয় না। তাই স্ত্রী জাতির প্রতি সদাচার সর্বাবস্থায় কল্যাণকর।
তরুণদের চোখে বিবাহ হলো রঙ্গিন চশমা লাগানো ফ্যান্টাসির জগৎ। বাস্তব প্রেক্ষাপট পুরোই উলটো। দাম্পত্য জীবন আল্লাহর পরীক্ষাস্বরুপ। তাই কাপুরুষের মত অবজ্ঞা না করে, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া পুরুষের জন্য ব্যক্তিত্ব বহন করে। বৈবাহিক জীবনের ভাঙ্গন শয়তানের ওয়াসওয়াসা। তাই শয়তানের কর্মপরিকল্পনাকে সফল হতে দিবেন না।
আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। মজার অনেক গল্পের ছলে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। কিছু জায়গায় তো স্ত্রীদের আচরণে ও শিশুসুলভ বোকামি দেখে অনেক হাসি পেয়েছে। নবীপত্নী ও মনীষীদের স্ত্রীদের মাঝেও সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো তারা কীভাবে সমঝোতা করেছেন সেগুলোই বইটির প্রধান বিষয়বস্তু। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সাথেও সেসব ঘটনার অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায় বলেই সমাধান মলাটের ভেতরে।
ছোট পরিসরে হলেও খুব সযতনে সাজানো গোছানো বইটির প্রচ্ছদ ও সুচীপত্রই প্রথমে পাঠকের নজর কাড়বে। দাম্পত্য জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন, কিংবা সুখী সংসারের মূলমন্ত্র জানতে আগ্রহী পাঠকের জন্য অবশ্যপাঠ্য। বক্ষমাণ বইটিতে বর্ণিত ঘটনাবলী স্ত্রীদের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মনে সান্ত্বনার পরশ বুলাবে। অন্তরে মহব্বত ও ভালোবাসা জাগাবে। পরিশুদ্ধ নিয়তে স্ত্রীর সাথে সদাচার আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের পথ সুগম করে ও জীবনকে ত্রুটিমুক্ত করে প্রশান্তি এনে দেয়।
একজন প্রেমময় স্বামীই পারেন একজন নারীকে প্রিয়তমারুপে আগলে রাখতে। প্রেমময় হতে আপনি কতখানি প্রস্তুত?
নাফিসা ইয়াসমিন –
প্রারম্ভিকা
—————-
আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম করো।” (সূরা আয-যারিয়াতঃ ৪৯)
আল্লাহ মানুষকেও সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। তাই মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল থাকে। ব্যাক্তি থেকে সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নির্ভর করে পারিবারিক বন্ধনের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে দু’টি মানুষের জীবনের বিনিসূতো যুক্ত হয় বিয়ে নামক হালাল ভালোবাসার রেশমি বুননে।
অথচ আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার বিষবাষ্প ভেঙে দিচ্ছে ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থা তথা ইসলামিক পরিবারের কাঠামো।
তুচ্ছ কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ তো আজকের সমাজের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এ ছাড়াও নানান বিষয়ে পরিবারগুলোতে অশান্তি আর কলহ-বিবাদ লেগেই থাকে। পারিবারিক এসব বিপর্যয় নিয়ে আমরা শঙ্কিত হলেও, কখনো ভেবে দেখি না বা চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজনও বোধ করি না, এসব বিপর্যয় সৃষ্টির মৌলিক কারণগুলো কী? আর কীভাবে এর প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়?
এমতাবস্থায় দ্বীনী ব্যক্তিদের উচিত হল আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশাবলীর দিকে আলোকপাত করার পাশাপাশি অন্যান্য নবী রাসূলগন , সালাফা, তাবেঈ এবং মনীষীদের বৈবাহিক জীবনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা।
পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন রুখতে , প্রকাশনা মাকতাবাতুন নূর এর অনবদ্য প্রয়াস “স্ত্রীদের সাথে নবি ও মনীষীদের আচরণ” বইটি।
বই-আলাপন
———————–
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটির বিষয়বস্তু চমকপ্রদ শিরোনামে প্রায় ৪৬ টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে।
🍂সূচিপত্র থেকে একঝলক 🍂
🤍উলামায়ে কেরামের ফতোয়া
🤍স্ত্রীর প্রতি সহনশীলতার সৌন্দর্য
🤍স্ত্রীর প্রতি সহনশীল হওয়ার ফযিলত সংক্রান্ত দুটি ঘটনা
🤍এক আল্লাহর আলির ঘটনা
🤍স্ত্রীর নিপীড়নে ধৈর্যধারণকারীদের বিরাট প্রতিদান
🤍পূর্বসূরিদের আদর্শঃ স্ত্রীদের প্রতি অভিযোগ না করা
🤍অপর মুসলমানকে বিপদমুক্ত রাখতে যারা স্ত্রীর নিপীড়ন সহ্য করেছেন
🤍যেসকল মহান ব্যক্তি স্ত্রী-পীড়ন সহ্য করেছেন
🤍সাইয়েদুনা হযরত নুহ ও লুত আঃ
🤍 সাইয়েদুনা ইব্রাহিম আঃ
🤍সাইয়েদুনা ইউনুস আঃ
🤍সাইয়েদুনা জাকারিয়া আঃ
🤍সাইয়েদুনা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
🤍 আমিরুল মুমিনিন সাইয়েদুনা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ
🤍 স্ত্রীর নিপীড়ন সহ্যের সীমা
🤍 মূর্খদের উপেক্ষা করা প্রসঙ্গে কিছু কবিতার পঙক্তি
বইটির সুন্দর নামকরণ এবং সূচিপত্র থেকে পাঠকমহল সহজেই ধারণা করতে পারবে বইটির মুখ্য বিষয়বস্তু।
বইটির সূচনাতে উল্লেখিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিখ্যাত হাদীসটি
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।”(সুনানে তিরমিযী)
বইটির আলোচ্য বিষয়বস্তুর সাথে হাদীসটি সংযোগ স্থাপন করেছে।
একজন মুসলিমের চারিত্রিক মানদন্ড নির্ভর করবে তার স্ত্রীর সাথে সদাচরণের ওপর।
⬛বইটিতে উঠে এসেছে নবী-রাসূলগণ এবং মনীষারা স্ত্রীর অসদাচরণে কিরূপ ধৈর্য ধারণ করছেন। আল্লাহর ওলীরা স্ত্রীর নিপীড়নকে দুনিয়ার পরীক্ষাস্বরূপ দেখতেন, তাঁদের অপরিসীম ধৈর্য্য ধারণের বহুল ঘটনা পাঠক হৃদয়কে মুগ্ধ করবে অনায়াসে।
⬛এছাড়াও আলোচিত হয়েছে কিভাবে তাঁরা সমতা বজায় রাখতেন মা এবং স্ত্রীর মধ্যে।
⬛ স্ত্রীর নিপীড়নে ধৈর্য ধারণের বিরাট প্রতিদান উত্তম পুরষ্কার নিহিত রয়েছে তার সুস্পষ্ট আলোচনা।
⬛ নবীগণ এবং মনীষীরা কখনো স্ত্রীদের আচরণে অভিযোগ করতেন না বরং তাঁরা অবলম্বন করতে স্ত্রীর হৃদয় জয় করতে বিভিন্ন পন্থা ও সুমিষ্ট আচরণের।
⬛সাইয়েদুনা হযরত নুহ ও লুত আঃ থেকে শুরু করে সাইয়েদুনা ইব্রাহিম আঃ, সাইয়েদুনা ইউনুস আঃ, সাইয়েদুনা জাকারিয়া আঃ, আমাদের সকলের প্রিয় সাইয়েদুনা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর প্রিয় সাহাবী আমিরুল মুমিনিন সাইয়েদুনা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ সহ অসংখ্য মহান ব্যাক্তি তাঁদের অন্তরের তাকওয়ার কারণে ধৈর্য্য ধারণের অপূর্ব নমুনা দেখিয়েছেন যুগে যুগে। তাঁরা ব্যাতিক্রম ছিলেন না সাংসারিক জীবনের চড়াই উতরাই অতিক্রম করার ক্ষেত্রে। তাঁদের বৈবাহিক জীবন নির্দেশনা উদ্বুদ্ধ করে বর্তমানের তরুণ প্রজন্মেকে।
পাঠ্য-অনুভূতি
———————-
আলোচ্য বইটির অসাধারণ বিশেষত্বের একটি হলো ধৈর্য্য ধারণের উত্তম প্রতিদান যা বৈবাহিক জীবনের মূল ভিত্তি।
উম্মাহর ক্রান্তিকালে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার সুর যেখানে হৃদয়কে অহরহ শঙ্কিত করে তুলেছে সেখানে এই ধরনের একটি সুষ্পষ্ট নির্দেশনা মুলক বই স্বভাবতই মুগ্ধতা আনে।
বইটির পরতে পরতে উঠে এসেছে স্ত্রীর সাথে কোমল আচরণ কিভাবে ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা বহন করে নিয়ে আসে।পৌরুষত্বের বহিঃপ্রকাশ স্ত্রীর সাথে রূঢ় ব্যবহারে নয় বরং সদাচরণে ফুটে ওঠে।
আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো তালাকের ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা। তালাক যে আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূলের অপছন্দনীয় একটি হালাল তা বারংবার বর্ণিত হয়েছে যা পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত করে।
নবী রাসূলদের ধৈর্য্য ধারণের ঘটনা, অসাধারণ উক্তি সমূহ অথেনটিক রেফারেন্স সহ আল কুরআন ও হাদীসের আলোকে আলোকিত হয়েছে।
এছাড়াও বইটির সহজ সরল ভাবানুবাদ, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কদাচিৎ হাস্যরস এবং প্রাঞ্জল উপস্থাপন সহজেই হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম।
সুন্দর দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ বইটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
কেন পড়বেন
———————
বর্তমান সমাজে পারিবারিক কাঠামো যেন দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেন ঠিক ভাল যাচ্ছেনা, কেউ কাউকে বিশ্বাস করছেনা। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে যাচ্ছে, বরকত কমে যাচ্ছে। ডিভোর্সের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের ডিভোর্স হচ্ছে। বাড়ছে বিভিন্নরকম অসামাজিক কাজকর্ম ও অশ্লীলতা। এই পরিস্থিতিতে বৈবাহিক বন্ধনের ভিত্তি মজবুত করতে আমাদের অনুসরণ করতে হবে নবী রাসূলদের।
বইটি উপলব্ধি করতে শেখায় যে একজন আদর্শ স্বামী পারে নিজের স্ত্রীকে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে। একজন আদর্শ স্বামী পারে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়তে। একজন আদর্শ স্বামী পারে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে সুন্দর একটি পরিবার গড়তে।
সুতরাং একজন মুমিন কীভাবে একজন আদর্শ স্বামীর চরিত্রে চারিত্রবান হতে পারেন তা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে বইটিতে।
আর শুধু এইসব সমস্যার সমাধানই নয়, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনকে আরও সুন্দর ও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে আশাকরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বইটি কাদের জন্য এবং বইটির বিশেষত্ব
———————————————————
বিবাহিত, অবিবাহিত সকল মুসলিমদের জন্য বইটি অনুপ্রেরণা যোগায়।
স্ত্রী নেককার হলে তো আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি কারো ভাগ্যে বদকার স্ত্রী এসে যায়, তাহলে তার জীবন যৌবন,আখেরাত সব শেষ। আসলেই কি সব শেষ?
নবী রাসুল, সালাফাদের জীবনের আলোকে বৈবাহিক জীবনের সমস্ত জটিল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিতে বইটি সাহায্য করবে।
পরিশেষে
—————–
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক—এমনকি কেরানি হওয়ার জন্যও কিছু না কিছু শেখানো হয়; কিন্তু আদর্শ দায়িত্ববান স্বামী অথবা চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো বিশেষ পাঠ দেওয়া হয়না। অথচ দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটি আপনার প্রতিটা সকাল প্রতিটি সন্ধ্যা, প্রতিটি রাতকে প্রভাবিত করবে। আপনার জীবনে সফলতা ব্যর্থতার গতিপথ নির্ধারণে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখবে।
আমরা বিস্মৃত হয়ে যায় যে, ইসলামি জীবনব্যস্থার মূল ভিত্তি পরিবার। যেখানে সুদৃঢ় পারিবারিক কাঠামো অনুপস্থিত, সেখানে সুস্থ জীবন গঠন এবং নৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অলীক কল্পনা বিলাস!
অথচ পরিবারগুলো এখন দাম্পত্য কলহের বিষবাষ্পে আচ্ছাদিত, বিচ্ছেদের সুরে নিঃশব্দে হাহাকার করে যায় প্রতিনিয়ত।
আলোচ্য বইটি নবী রাসূলদের জীবন অনুযায়ী বৈবাহিক জীবন নির্বাহ করার নির্দেশ দিয়েছে।
দাম্পত্য জীবনের সকল পর্যায়েই একপ্রকার পারিবারিক প্রেসক্রিপশনের মত কাজ করবে নিঃসন্দেহে।
সর্বশেষে আপনি দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের চিন্তা করছেন এই মুহূর্তেও বইটি আপনার প্রয়োজন।
“স্ত্রীদের সাথে নবি ও মনীষীদের আচরণ” বইটি সহায়তা করবে দাম্পত্য জীবনের অনাবিল সুখ ফিরিয়ে আনতে।
📚একনজরে বই পরিচিতি
বই- স্ত্রীদের সাথে নবি ও মনীষীদের আচরণ
লেখক- শাইখ ইউসুফ আবজাক সূসী
অনুবাদক- মাওলানা যায়েদ আলতাফ
প্রকাশনায়- মাকতাবাতুন নূর
প্রকাশক- মাওলানা দিলাওয়ার হুসাইন
মুদ্রিত মূল্য- ১৭৫ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৯৬