গীবত ও চোগলখোরী

গীবত ও চোগলখোরী
লেখক : হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (রহ.)
প্রকাশনী : মোহাম্মদী লাইব্রেরী

গীবত বা পরদোষচর্চা একটি কবিরাহ গুনাহ। কোনো না কোনোভাবে আমরা সবাই এর মাঝে ডুবে আছি। তবে তা যে হারাম কাজ তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে কোন আলোচনা গীবতের শামিল তা কি আমরা জানি। একেবারে গীবতের আদ্যোপান্ত এই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
আসলে গীবত বলতে যা কিছুই বোঝাক না কেন, পরের দোষ চর্চা করতে একটু বেশিই মজা লাগে তাই না? কিন্তু নিজের দোষগুলো পরের মুখ থেকে শোনার চেয়ে ইসলামিক বই বেশি বেশি পড়ুন। একমাত্র আল্লাহ ঠিক করে দেয়ার মালিক কোন কাজ ঠিক, আর কোন কাজ ভুল। শুধু উপদেশ দিতে থাকুন সেটাও আল্লাহর শিখিয়ে দেয়া উপায়ে। কারণ জ্ঞানীরাই উত্তম কথা গ্রহণ করে। বাচাঁল লোকের সংগ পরিত্যাগ করুন। সকল বিষয়ে কেন/কিন্তু করা লোককে বন্ধু বানাবেন না। সন্দেহপ্রবণ ও দ্বন্দ্বকারী মানুষ থেকে দূরে থাকুন। কুরআনকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করুন।
ঠাট্টাতামাসা ও রসিকতা যতখানি সম্ভব পরিহার করুন। ব্যক্তিগত জীবনকে প্রাধান্য দিন। লোকে কী ভাবলো সেটাও জানতে হবে, তবে মাথা ঘামানো যাবে না। দেখতে হবে এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে। ব্যক্তিগত উন্নয়নই আসল। শুধু সমালোচনা শুনলেও এমন ভাবার কারণ নেই যে, আপনি খুব উন্নতি করছেন। তার অর্থ এমনও হতে পারে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে, তাদেরকে পেছনে ফেলতে। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীও ছড়িয়ে আছে। তাদেরকে আইডেন্টিফাই করুন এবং কথা শুনুন। সময়ের সঠিক মুল্যায়ন করুন যেখানে নীতি ও আদর্শের কথা আছে। এগুলো জীবনের অভ্যাস ও পাথেয় বানিয়ে নিন। এগিয়ে চলুন। পরিবারের সদস্যকে ভাল কাজের প্রতিযোগিতায় সাহায্য করুন। তাদের জাহান্নামের ইন্ধন বানাবেন না। এভাবেই আল্লাহকে ভয় করুন, তাঁকেই ভালোবাসুন। তাঁর সৃষ্টিও আপনাকে ভালবাসবে।