Copyright © 2024 Seanpublication.com
সীমান্ত ঈগল (হার্ডকভার)
- লেখক : নসীম হিজাযী
- পাবলিকেশন : প্রীতি প্রকাশন
- বিষয় : ইসলামি সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস, সফরনামা; ভ্রমণ-বৃত্তান্ত
লেখক : নসীম হিজাযী
প্রকাশনী : প্রীতি প্রকাশন
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস এবং সফরনামা
৳300 ৳210
You Save TK. 90 (30%)
সীমান্ত ঈগল (হার্ডকভার)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for সীমান্ত ঈগল (হার্ডকভার)
Add a review Cancel reply
Md Amdadullah Tafhim –
বইঃ সীমান্ত ঈগল
লেখকঃ নসীম হিজাযী
মুসলমানদের উন্নতি ও তরক্কীর পথ একটিই।সেটি হচ্ছে দ্বীনকে মজবুত ভাবে আঁকড়ে ধরা। শাহী মহলের সোনার আসনে সমাসীন হয়েও কুফফার শক্তির অন্তর কম্পনশীল থাকে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ চেতনা এবং দ্বীনি জজবার দরুণ।মুসলিমদের এই মহৎ গুণটিই কুফফার শক্তির শরীরে বিশাল এক বিষফোড়াঁ।
ইতিহাসের পাতায় সমুজ্জ্বল ইসলামি সালতানাত ধ্বংস হওয়ার পেছনে মুল কারণ গাদ্দারী। হক্বপন্থি বৃহৎ জনগোষ্ঠী যখন একটি উদ্দ্যেশ্য “ইসলাম জিন্দার মিশন” নিয়ে সামনে আগাতে শুরু করে,তখনই কিছু মুনাফিক সামান্য ক্ষমতা আর অর্থকড়ির লোভে পড়ে কাফেরদের সাথে হাত মেলায়।
বিপর্যস্ত মানসিকতার অধিকারী এসব বদবখত কওমের দুশমনদের কাছে বিক্রি হয়ে যায়।ফলশ্রুতিতে ধ্বংসোন্মুখ মুসলিম জাতির বেদনাদায়ক বিশেষত্বের রূঢ় বাস্তবতাকে এরা শ্লোগানের পর্দায় ঢেকে দেয়।সম্মিলিত জিম্মার বোঝা তুলে দেয় অযোগ্য ব্যক্তির কাধে।
অতীত ইতিহাস এসব খবরের জানান আমাদের দেয়।কিন্তু সেসব হৃদয়বিদারক ঘটনা জানার জন্য অতীত ইতিহাসের পাতা উল্টানোর প্রয়োজন আমরা অনুভব করিনা।বর্তমানের আয়নায় আমরা দেখি অতীতের প্রতিবিম্ব।
♤ বইটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনাঃ
আটশো বছর শাসন করার পরও স্পেন কিভাবে। মুসলিম শুন্য হয়ে গিয়েছিল! কর্ডোভা, গ্রানাডা আর সেভিলের মসজিদ তো আজও দেখা যায়,কিন্তু চিরদিনের জন্য কিভাবে আযানের ধ্বনি নিষদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেসব অতীতের করুন ইতিহাস নিয়েই এই বইটি লিখা। মুসলম ছদ্মবেশী মুনাফিকদের কার্যক্রম, ইসলাম বিরোধী চক্রান্তের কলাকৌশল, আধিপত্য বিস্তারের মনোভাব,ইসলামি জিহাদের রণক্ষেত্রের ভুবনজয়ী ঘটনার সাক্ষী এই বইটি।
♤ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ
বইটি পাঠক হৃদয়ে সুপ্ত শব্দভাণ্ডার কে সুশোভিত ও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি পৌঁছিয়ে দিবে সুদূর স্পেনের ঘাটি আর মাটিতে কিছু স্বার্থান্বেষী গাদ্দার মহলের দ্বারা প্রোথিত ইসলামী ইতিহাসের এক সোনালী যুগে। যে যুগের মুসলমানের মাথায় পাগড়ি, হাতে তাসবীহ আর তলোয়ারের ঝনঝনানি বিরোধী শক্তির ভিতকে নড়বড় করে দিত।সেই কালজয়ী বিষয়গুলো পাঠকমনকে আলোড়িত করবে।
এ বইটি প্রতিমুহূর্তে স্মরন করিয়ে দিবে, মুসলিমরা সংখ্যায় কম হতে পারে ।সামর্থ্য তাদের সীমাবদ্ধ থাকতে পারে । কিন্তু উন্মুক্ত করে দেখিয়ে দিবে অতীত ইতিহাসের স্বর্নখচিত এক পাতা। যেদিন অল্প ক’জন সত্যপন্থি পেটে পাথর বেঁধে কাইসার ও কিসরার প্রাসাদ শীর্ষে বিজয়কেতন উড্ডীন করেছিল।স্মরন করিয়ে দিবে তারিক বিন যিয়াদ, ইউসুফ বিন তাশফিন আর সালাউদ্দিন আইয়ুবি প্রমুখদের জিহাদি চেতনার কথা।
♤ কাদের জন্য এই বই এবং কেন পড়বেন?
ইসলামি ইতিহাস উপন্যাসের আলোকে যারা পড়তে পছন্দ করে তাদের জন্য বইটি মাস্টারপিস। মুসলিম ঐতিহ্য সন্ধানী প্রত্যেক নর-নারীর জন্য বইটি পড়া উচিত। কুফফার শক্তির পরাজিত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বইটিতে ঘটেছে। যা থেকে প্রত্যেকেই তাদের কুট-কৌশল সহজে রপ্ত করা শিখতে পারবে। সারকথা, সকল বয়সী মুসলিমের জন্য বইটি পড়া একান্ত প্রয়োজন।
♤ যে বিষয়টি ভাল লেগেছেঃ
গতানুগতিক উপন্যাসের মত এই বইটিতে হারাম রিলেশানশিপ, প্রেমঘটিত নির্লজ্জ উপাখ্যান, অপ্রাসঙ্গিক বর্ণনাভঙ্গি দৃষ্টিগোচর হয়নি। বইটির স্থানে স্থানে সুন্দর উক্তির প্রয়োগ বইটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
আরো যে জিনিস গুলো ভাল লেগেছে তা হল,বইটিতে আছে সাহিত্যের সুষমা, উপন্যাসের চমৎকারিত্ব। আছে ঐতিহ্যের অনুরণন। নেই প্রলয়ংকরী ঝঞ্জার ক্ষীপ্রতা, আছে মৃদুমন্দ সমীরণের মধুর পরশ।এতে আছে ইসলাম প্রেমের কোমল উত্তাপ, নেই বিবেকশূন্য দহনজ্বালা।
♤ লেখক সম্পর্কে কিছু কথাঃ
ইসলামি ইতিহাসের যাত্রাদলে ‘নসীম হিজাযী’ এক অনন্য নাম। ‘আধার রাতের মুসাফির’,’হেজাযের কাফেলা’,’ইউসুফ বিন তাশফিন’ তার লিখা কালজয়ী উপন্যাস।
যে ক’জন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক উর্দু সাহিত্যে সাড়া জাগিয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার উপন্যাস গুলো জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পটভুমিকায় রচিত।নৈতিক অবক্ষয়রোধ এবং মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়নে এ উপন্যাস গুলোর প্রয়োজনীয়তা অনেক।
♤ অনুবাদ ও অনুবাদক সম্পর্কেঃ
বইটি অনুবাদক ‘আব্দুল হক’ এর অনন্য এক শিল্পকর্ম। অনুবাদক ব্যাকরণের যথা ব্যবহার, ভাষা ও ভাব, আবেগ ও অনুভূতি এক অপুর্ব সম্মিলন ঘটিয়েছেন। অনুবাদ কর্মটি তাই যথেষ্ট উৎকর্ষ সাধন করেছে।
♤ বইটি থেকে প্রিয় একটি উক্তিঃ
“আল্লাহর রাসুল স. তিনশো তেরো জন আত্ননিবেদিত মুজাহিদ নিয়ে বদরের ময়দানে দাঁড়িয়েছিলেন। একদল মুনাফিক কাফেরদের সংখ্যায় ভয় পেয়ে বলছিল, ইসলামের প্রদীপ কুফরীয় আধারের মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়।জানিনা,কোন খোদার ইচ্ছার কথা তারা বলছে।আমরা মুসলিমরা শুধু এক খোদাকেই জানি।মানি তাকেই, আর মাথা নত করি তারই ইচ্ছার সামনে।যিনি মোহাম্মদ স. এর উপর কুরআন নাযিল করেছেন,তিনিই আমার প্রভু।
সেই খোদার প্রিয় নবী আমায় শিক্ষা দিয়েছেন,বাঁচলে গাজী আর মরলে শহীদ। সেই খোদার মান্যকারীরা নাচতে পারে তরবারীর তীক্ষ্ণতায়।গোলামীর জিঞ্জিরের বোঝা ওরা বয় না।সেই খোদার ইচ্ছা হলো, মাথায় কাফনের কাপড় বেধে আমরা ময়দানে আসবো। জুলুম, অন্যায়, পশুত্ব আর বর্বরতাকে দুনিয়ার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ধাওয়া করবো।”
♣ একনজরে….
বইঃ সীমান্ত ঈগল
লেখকঃ নসীম হিজাযী
অনুবাদকঃ আব্দুল হক
প্রকাশনীঃ প্রীতি প্রকাশন
পৃষ্ঠাঃ ৩২১
মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০ টাকা।