যে কাফেলা নিজের ও মানব সমাজের জীবনযাপনের জন্যে বিনির্মাণ করতে চায় একটি রাজপথ, তার কামিয়াবীর জন্যে স্বীয় ঈমান, ইয়াকীন, ইচ্ছা, সংকল্প, আমল, আচরণ এবং চরিত্র ও কুরবানীর সাথে সাথে তার একজন উৎকৃষ্ট সেনাপতিরও প্রয়োজন। যেমনি করে কাফেলার প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য একটি মাত্র পদাংকই অনুসরণযোগ্য এবং তা হচ্ছে রাসূল মুস্তফার পদাংক। তেমনি, কাফেলার নেতার জন্যও সেই একই পদাংকের অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ ও কামিয়াবী, যা রেখে গেছেন প্রথম নেতা রাসূলুল্লাহ (স)। সত্য কথা বলতে কি, কাফেলার প্রতিটি সদস্যই কোনো না কোনো পর্যায়ের এবং কোনো না কোনো স্থানের নেতা। তাদের প্রত্যেকেরই সেই হেদায়াত ও পথনির্দেশর মুখাপেক্ষী যা রয়েছে নবী মুস্তফা (স)-এর পদাংকে।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
nayeem_sharder –
বই- ইসলামী নেতৃত্বের গুনাবলী
নেতৃত্ব দেওয়া পৃথিবীতে কঠিনতম কাজের মধ্যে অন্যতম। সঠিক নেতৃত্বের অধিকারী ব্যাক্তি যিনি পৃথিবীর যে কোনো কাজকে সফল ভাবে শেষ করতে সক্ষম।
যিনি দলের মধ্যে নিজের প্রভাব সফল ভাবে কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে সাহায্য করেন তিনি হচ্ছেন আসল নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
মুসলিম উম্মাহর জন্য ইসলামী নেতৃত্বের শ্রেষ্ঠ আদর্শ রাসুল সা.। তিনি আমাদের কে শিখিয়েছেন কীভাবে একটা জাতির নেতা ও শিক্ষক হওয়া যায়? বইটিতে এই বিষয়ে কুরআন সুন্নাহের আলোকে বর্ণনা করেছে। বইটিতে আরো জানা যাবে রাসূল সা. এর দাওয়াতি কাজ ও দাওয়াতের উদ্দেশ্য। এই অধ্যায়টা বর্তমান সময়ের জন্য আমার কাছে খুবই যুগোপযোগী মনে হয়েছে। কারণ বর্তমানে উত্তম দাওয়াতি কার্যক্রমের সংকট।
আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়নে অবশ্যই ককোন না কোন গোষ্ঠী আক্রমনাত্মক আচরণ করবেই। তাদের কে মোকাবেলা করা ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব। নিজেকে গড়ে তোলা দরকার ঠিক সেরকম ভাবেই। যেমন দরকার- জিহাদ সম্পর্কে মৌলিক ধারণা, অপবাদের জবাব ও ব্যক্তিত্ব গঠন ইত্যাদি। বইতে এই বিষয়ের উপরে লেখা গুলো খুবই চমৎকার।
বইটিতে সর্বশেষ পাবেন, আন্দোলনের সাথীদের মধ্যে পারস্পারিক কেমন আচরণ হবে? এই প্রশ্নের সমাধান করা হয়েছে মানবতার মুক্তির দূত রাসূল সা. এর জীবন থেকে। অল্প কথা মধ্যে এতোটাই দারুণ ভাবে লেখা হয়েছে যার প্রশংসা না করলেই নয়। পাঠক এই জায়টাতে এসে মনে হবে বইয়ের কলেবর আরো কিছুটা বাড়ানো উচিত ছিলো। দ্বীনের পথে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য এই বইটি অনন্য।