বিশ্রুত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল। মহানবি ﷺ-এর যুগে দুনিয়ার অন্যতম পরাশক্তি পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য বা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী। ‘একজন মহান সেনাপতির নেতৃত্বে এক উৎকৃষ্ট সেনাদলের হাতে সুবিখ্যাত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল মুসলিমদের করায়ত্ত হবে’-এমন সুসংবাদ দিয়েছিলেন মহানবি ﷺ।
তাঁর সুসংবাদ বাস্তবায়নের গৌরব অর্জনে বহু সেনাপতি, খলিফা ও সুলতান কনস্ট্যান্টিনোপল জয়ের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করে রাসূলুল্লাহর সুসংবাদ বাস্তবায়নকারী ‘আমির’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
এই বইয়ে ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ওই ঘটনার অনুপুঙ্খ বিবরণ উঠে এসেছে। তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আনাতোলিয়ায় উসমানি তুর্কিদের সালতানাত প্রতিষ্ঠার ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষয়িষ্ণু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন এবং উদীয়মান অটোমান সালতানাতের উত্থানের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি পর্যালোচনা করা হয়েছে নির্মোহ দৃষ্টিতে। নিছক মৃত মানুষের কাহিনি সংকলন নয়; বরং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সূত্রগুলোকে এক সুতোয় গাঁথার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
nayeem_sharder –
বই- সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ
অবশ্যই কসতুনতুনিয়া (কনস্টান্টিনোপল) এক ব্যক্তির হাতে বিজিত হবে। সেই শাসক কতই না উত্তম আর সেই বাহিনী কতই না উত্তম বাহিনী! এই ভবিষ্যৎ বাণীটি করে গিয়েছিলেন প্রিয়নবী মুহাম্মদ সা.। ইসলামি সভ্যতায় অগণিত শাসকের স্বপ্ন ছিলো সেই কনস্টান্টিনোপল। সে সময় কনস্টান্টিনোপল সম্পর্কে বলা হতো যদি সারা দুনিয়া শুধু একটি রাষ্ট্র হয়, তাহলে কনস্টান্টিনোপল তার রাজধানী!
কনস্টান্টিনোপল এমন কোনো শহর ছিল না যা চাইলেই জয় করা সম্ভব। সে সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও উপযুক্ত এ শহরটার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ছিল সবচেয়ে উন্নত। এজন্যই এরই আগে যত আক্রমণ হয়েছে, তার সবক’টিই কনস্টান্টিনোপলের বিরাটকার দেওয়ালের সামনে এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
সুলতান মুহাম্মাদ মাত্র ২০ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। এত অল্পবয়স্ক একজনকে সুলতান হিসেবে মেনে নিতে অনেকেরই আপত্তি ছিল বেশ জোরালো। সেই বয়সেই তিনি স্বপ্নের রাজ্য জয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন! সুলতান ছিলো দুরন্ত চৌকশ। তিনি সিদ্ধান্তে অটল। জলের জাহাজ ডাঙ্গায় তিন কিলোমিটার টেনে সবচেয়ে প্রতিবন্ধকতা গোল্ডেন হর্ন দখলে নেন! তাও এক রাতে ৭০টি জাহাজ!
কে এই বীর? কি ছিলো রণকৌশল? জন্ম-মৃত্যু সবই এই বইতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যে তার মেধা শ্রম দিয়ে নামের পাশে “ফাতিহ্” উপাধিতে বিশ্ব সেরা সুলতানের জায়গা দখল করে নেয়।