Copyright © 2025 Seanpublication.com
আল্লাহর প্রতি সুধারণা (শব্দতরু)
- লেখক : ড. ইয়াদ কুনাইবী, হাসান মাহমুদ
- অনুবাদক : হাসান মাহমুদ
- পাবলিকেশন : শব্দতরু
- বিষয় : অনুপ্রেরণা মোটিভেশন আত্ম-উন্নয়ন আত্মশুদ্ধি, রব যিনি আল্লাহ, সকল প্রকাশক
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 232
- কভার : পেপারব্যাক
Author : ড. ইয়াদ কুনাইবী
Translator : হাসান মাহমুদ
Publisher : শব্দতরু
Category : আত্মশুদ্ধি/রব যিনি আল্লাহ
৳300 ৳220
You Save TK. 80 (27%)
Out of stock
আল্লাহর প্রতি সুধারণা (শব্দতরু)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (2)
2 reviews for আল্লাহর প্রতি সুধারণা (শব্দতরু)
Add a review Cancel reply
Muhammad Tamimul Ihsan –
||বুক রিভিউ||
▪︎ আমরা অনেকেই মনে করে থাকি,বিপদ মানেই দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রনা।বিপদ মানেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি।বিপদ শুধু কষ্টের ইতিবৃত্ত।অনেক সময় যখন আমাদের অন্তরগুলো কলুষিত হয়ে পড়ে তখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিপদ দিয়ে তাওবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে থাকেন।কারণ,বিপদেই একজন মানুষের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। বিপদে এলে মানুষ ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। বিপদের সময় ধৈর্য্য আর সবরের কথা যদিও আমরা জানি এবং শুনি;কিন্তু বিপদকালের বাস্তবতায় আমরা ভূলে যাই ধৈর্য্য আর সবরের কথা। ভূলে যাই বিপদ আমার রবের পক্ষ থেকেই এসেছে আবার তার পক্ষ থেকেই চলে যাবে। কিন্তু এই সময় রবের প্রতি সুধারণাটাই চলে যায়। অনেকে মনে করে থাকে আল্লাহ কেনো আমাকে এই কষ্টটা দিচ্ছে, আল্লাহর তো এটা উচিৎ হয়নি। এভাবেই সে নিজের অজান্তেই করে ফেলে বড় ধরণের গুনাহের কাজ। আর এইসব বিষয় নিয়ে ড.ইয়াদ আল কুনাইবী (হাফি.) রচিত “হুসনুয যন বিল্লাহ” এর অনুবাদ প্রকাশ শব্দতরু প্রকাশনী।
▪︎ বইটি মূল লেখক ফিলিস্তিনি বংশদ্ভূত কুয়েতি লেখক ড.ইয়াদ কুনাইবী (হাফি.)।
যিনি একজন দাঈ এবং অনলাইন একটিভিস্ট। যার লেকচার ও দাওয়াতি কার্যক্রমের কারণে হাজারো তরুণ জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছে। আর আল্লাহ তাকে মানুষের মনস্তত্ত্ব উপলব্ধি করার তাওফিক দিয়েছেন।তাই তিনি যে বিষয়ে কলম ধরেন,তাতে অভিনবত্ব সৃষ্টি করেন।আর তাই বইটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সহজপাঠ্য করার জন্য অনুবাদ করেছেন হাসান মাহমুদ।প্রকাশ করেছে শব্দতরু প্রকাশনী।
•বিপদে কেন ধৈর্য্য ধারণ করবো?
•কীভাবে পাহাড়সম মুসিবত মাথায় নিয়েও শান্ত-স্থির থাকতে পারবো?
•বিপদে পড়ে আমরা হতাশায় ভুগি এ থেকে আমরা কীভাবে বাঁচতে পারবো?
•সর্বোপরি এই বিপদকে রবের নিয়ামাত হিসেবে কীভাবে উপভোগ করবো কীভাবে?
এভাবে এইসব বিষয়সহ নানা বিষয়ের সমাধান দারুণভাবে আলোচনা করেছেন তিনি বইটিতে।প্রশ্ন এভাবে সরাসরি না ছুঁড়লেও বইটিতে এরকম প্রশ্নের সমাধান দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে
•কীভাবে আপনি পরীক্ষাকে পুরষ্কারে বদলে ফেলবেন?
•বিপদের নিয়ামাত থেকে উপকৃত হবপন কীভাবে?
•কঠিন পরিস্থিতিতেও কীভাবে হাসিমুখে জীবনযাপন করবেন?
•কীভাবে সর্বক্ষেত্রে জীবনে ইতিবাচক হবেন?
•রবের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক কীভাবে গড়ে তুলবেন?
•কীভাবে আপনি অটুট ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হবেন?
•তাকদীরের ফয়সালার ব্যাপারে অভিযোগ করা থেকে কীভাবে নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করবেন?
•কীভাবে আপনার রবের প্রতি এমন ভালোবাসা তৈরী করবেন যা সব অবস্থায় অটুট থাকবে?
এসকল সব প্রশ্নের উত্তর এবং নানা বিষয়ের সমাধান খুঁজে পাবেন বইটিতে। সমাধানগুলো লেখক ইয়াদ কুনাইবী করে দিয়েছেন অনেক সহজ করে। যাতে মানুষ সহজ করে বুঝতে পারে।
▪︎ বইটি কারা পড়বেন এবং কেন পড়বেন? বইটি তারাই পড়বেন যারা উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না।এছাড়াও উপরোক্ত প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলোর সম্পর্কে কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না।কারণ বইটিতে এধরণের সকল উত্তর খুঁজে পাবেন। রবের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কারণে হলেও বইটি সকলের পড়া দরকার। রবের প্রতি সুধারণার জন্য হলেও বইটি পড়া দরকার।
▪︎ ব্যক্তিগত অনুভূতি : শায়েখের লেকচার আগেই শোনার কারণে তার প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করতো। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে আমি এমন একজন শাইখের আলোচনা শুনছি যিনি কখনো অাত্মশুদ্ধির নসীহত করছেন তো আবার কখনো ঈমান জাগানিয়া হৃদয়গ্রাহী বয়ান করছেন। কখনো মোটিভেশনাল লেকচার দিচ্ছেন।আর এইসব আলোচনা যেন তিনি একসুতায় গেঁথে দিচ্ছেন। আর তা হচ্ছে রবের সাথে আমার আপনার বন্ধন। বইটি পড়ে এতই ভালো লেগেছে যে বলার বাহিরে। বইটা একটা মাস্টারপিস।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫
মাআসসালাম…………!!
Halim Abdullah –
রিভিউ
.
বই: আল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক: ড. ইয়াদ কুনাইবী
.
একজন নেককার অন্ধ ব্যক্তি একদিন বলেছিলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এতই ভালোবাসেন যে, তিনি চান না, (জান্নাতে) তাঁকে দেখার পূর্বে আমি অন্য কিছু দেখি।’
.
মুমিন ব্যক্তি সর্বদাই আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকে। ফলে, না পাওয়ার বেদনায় সে কখনো মুষড়ে পড়ে না; বিপদ-আপদে ভেঙে পড়ে না। কারণ সে জানে—তার রব তার জন্য যে ফয়সালা করেন, তাতে তার কল্যাণ সুনিশ্চিত। এসব তত্ত্বকথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু পরিস্থিতি সামনে আসলে টিকে থাকতে হিমশিম খাই। দুর্বল ঈমানের ভীত তখন আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। এজন্য দরকার সর্বাবস্থায় সবরের রঙে জীবনকে রাঙিয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার যোগ্যতা অর্জন করা এবং আমাদের প্রতি মহান রবের অপরিসীম অনুগ্রহ সম্পর্কে ভালোভাবে জানা। ‘আল্লাহর প্রতি সুধারণা’ বইটি আমাদের ডিপ্রেশন, হতাশা ও দুশ্চিন্তা নিরসনে টনিক হিসেবে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।
.
❖ বইটির বিষয়বস্তু ও পর্যালোচনা:
পুরো বইটিই মোটিভেশনাল। যাপিত জীবনে বারবার কেন বিপদ-মুসিবত আসে; কখন বিপদ-মুসিবত কল্যাণকর, কখন পরীক্ষামূলক আর কখন শাস্তিমূলক হয়, সে বিষয়গুলো চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে। জীবনে আসা দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদকে কীভাবে বরণ করতে হবে, এর দুনিয়াবি ও পরকালীন ফায়দা কী, সেসব নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক অনেক কথা বলেছেন লেখক। সবরের প্রকৃত রূপ, তাৎপর্য এবং ধরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রকৃত সবরের কিছু অসাধারণ দৃষ্টান্তও উপস্থাপন করেছেন।
.
বইটিতে আমাদের জীবনে দয়াময়, প্রেমময় রবের সীমাহীন দয়া ও অনুগ্রহের বিষয়গুলো বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেগুলো পড়লে কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে; রব্বে করিমের ভালোবাসায় হৃদয় ব্যাকুল হয়ে চোখ ভিজে ওঠে। দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হয়ে অনেকেই তাকদির সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে, আল্লাহকে দোষারোপ করে এবং অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা করে। সম্মানিত লেখক এই লোকদের বিভিন্ন যুক্তির সুন্দর জবাব দিয়েছেন। সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখা এবং তাঁকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার গুরুত্ব বর্ণনার পাশাপাশি এসব গুণাবলী অর্জনের অনেক উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। বইটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এতে লেখক আল্লাহর প্রতি তীব্র ভালোবাসা রাখার প্রয়োজনীয়তা ও উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন।
.
❖ লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও এই বই:
লেখক ড. ইয়াদ কুনাইবির জীবনের সাথে বইটির কথাগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। হকের পথে অবিচল থাকায় সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছে। মাত্র ১১ বছর বয়সে তাঁর কলিজার টুকরো মেয়েটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এই ধরনের ঘটনাগুলো তাঁর ভাবনার জগতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। স্বভাবতই তিনি একজন অসাধারণ চিন্তক মানুষ। তাই, হঠাৎ করে সামনে আসা জীবনের ধূসর অধ্যায়গুলো গভীরভাবে অবলোকন করেছেন। তিনি এমন কঠিন সময়েও সবরে জামিল অবলম্বন করেছেন এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। মেয়ের দাফনকার্য সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি যে বক্তব্যটি রেখেছিলেন, তা যুগ যুগ ধরে উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই ঘটনাগুলোর সময়ে তিনি ডায়েরিতে তাঁর মনোভাবগুলো লিখে রাখতেন। নিশ্চয়ই তাঁর সেই বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো লিখনীতেও এসে গেছে!
.
❖ বইটি কেন পড়া উচিত?
(১) হঠাৎ জীবনের রঙ বদলে যাওয়ায় যারা হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছেন, তাদের জন্য বইটি আলো হয়ে দেখা দেবে, ইনশাআল্লাহ।
(২) কীভাবে জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো সামলাতে হবে, ইসলামিক পার্সপেক্টিভ থেকে তা সুন্দরভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে বইটিতে।
(৩) তাকদির তথা আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকার উপায়গুলো বলে দেওয়া হয়েছে।
(৪) বান্দার অসহায়ত্ব ও অযোগ্যতা এবং বিপরীতে আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় ও তাঁর মহানুভবতার দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহর ভালোবাসায় জীবনকে রাঙানোর কার্যকর মোটিভেশন প্রদান করা হয়েছে।
.
অনুবাদ যথেষ্ট মূলানুগ ও সাবলীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি বেশ ভালো দিক। তবে, অল্প কিছু স্থানে জটিলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। কিছু বানান ও ব্যাকরণগত ত্রুটি চোখে পড়েছে। শব্দচয়ন ছিলো চমৎকার। প্রচ্ছদ মোটামুটি সুন্দর হয়েছে। সর্বোপরি, মুহতারাম অনুবাদক চেষ্টা করেছেন ভাবের গভীরে ঢুকতে। সার্বিকভাবে বইটি খুব ভালো হয়েছে।
.
❖ শেষ কথা:
কুরআন-সুন্নাহর দলিলের আলোকে সবরের বয়ান আমরা অনেক শুনি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তেমন উপকৃত হতে পারি না বা মুসিবতের সময় সেগুলো মনে রাখতে পারি না। এই বইটির বিশেষত্ব এটিই যে, বাস্তব জীবনে দুঃখ-বেদনার মুখোমুখি হওয়া একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তি এতে (লেখক) নসিহত করেছেন। আর, তিনি শুধু নস উল্লেখ করেই ক্ষান্ত থাকেননি, বরং জীবনে দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-মুসিবত আসার কারণ অনুসন্ধান করে, উদাহরণের মাধ্যমে আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকার উপায়গুলোও বলে দিয়েছেন। বইটি আমাদের পড়া উচিত।