Copyright © 2024 Seanpublication.com
শয়তানের ফাঁদ (পেপারব্যাক)
Author : আব্দুল্লাহ আল খাতির
Translator : মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
Publisher : নুসুস পাবলিকেশন
Category : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
৳40 ৳26
You Save TK. 14 (35%)
শয়তানের ফাঁদ (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (2)
2 reviews for শয়তানের ফাঁদ (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
সাওদা সিদ্দিকা নূর –
◾প্রারম্ভিকা:
আমরা নিশ্চয় বারসিসার ঘটনা জানি।
বনি ইসরায়েলের ভেতরে সে ছিল অত্যান্ত আল্লাহ ভীরু একজন লোক। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে শেষ পর্যন্ত শয়তানকে সিজদা করে ফেলে।
সেই ঘটনার দিকে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, শয়তান প্রথমে এসেছিল বন্ধুর রূপে ভালো কাজ করতে।
অথচ সে ছিল বারসিসার সব থেকে বড় শত্রু।
শুধু বারসিসার জীবনে নয়। শয়তান আমাদের জীবনেও বিভিন্ন সুরতে ধরা দেয়। মানুষকে ইমানের পথ থেকে বিচ্যুত করাই তার কাজ। একটা প্রবাদ আছে৷ ঝোঁপ বুঝে কোপ মারা। শয়তানের কাজও ঠিক তেমন। শয়তান তার রূপ পাল্টে ঝোঁপ বুঝে কোপ দেয়। এটাই হচ্ছে শয়তানের আকিদা বা ধর্ম।
একজন মুসলিম হিশেবে ইমান ধরে রাখতে আকিদাগত জ্ঞান অর্জন করা যেমন জরুরি ঠিক তেমন শয়তানের আকিদা, কাজ-কর্ম সম্পর্কে জানাও জরুরি। না হলে অনেক সময় শয়তানের প্ররোচনায় আমাদের দ্বারা এমন সব কাজ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে, যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।
তাই নিজের ইমান-আমল টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই শয়তান ও তার কাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখা জরুরি। আর সল্প সময়ে শয়তান ও তার কাজ সম্পর্কে সুন্দর ধারণা অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকা হচ্ছে ‘শতানের ফাঁদ।’ নুসুস সিরিজের ৬ নম্বর পুস্তিকা। মাত্র ২৪ পৃষ্ঠার এই পুস্তিকাটা দেখতে যতটা ক্ষুদ্র, ভেতরের মেসেজটা ঠিক ততটাই বৃহৎ ও দামি। এক কথায় ঝিনুকের ভেতর মুক্তো লুকানো।
.
.
◾লেখক পরিচিতি:
আবু মুবারক আব্দুল্লাহ আল খাতির পরিচিতি পেয়েছিলেন ড. আব্দুল্লাহ আল খাতির নামে। তিনি একাধারে একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক, দ্বীনের দাই ও একজন সফল লেখক ছিলেন। ‘শয়তানের প্রবেশপথ’, ‘দাওয়াতি কাজে মনোবিজ্ঞান’, ‘মুসলিমদের বিপর্যয়’, ‘ব্রিটেনে নারী’ সহ লিখেছেন আরো বিখ্যাত কিছু বই।
.
.
◾বই পর্যালোচনা:
দ্বীন পালনের প্রতি ফাঁক ফোঁকরে প্রতিনিয়ত আমরা নিজেদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় অনেক ভুল করে ফেলি। কখনো হোঁচট খাই, পড়ে যাই, আবার উঠে দাঁড়াই। আবার হাঁটি, আবারো পড়ে যাই। কখনো বা দ্বীন থেকে ছিটকে পড়ি। কখনো কখনো ইমান আমলে ভাটা পড়ে, আবার কখনো ভুল ক্রমে ইমান বিধ্বংসী কাজ করে ফেলি।
আলসেমির জন্য আজ করব, কাল করব, পরশু করব করতে করতে আমাদের সময় ফুরিয়ে যায়। জীবনের অন্তিম প্রান্তে গিয়ে যখন দেখি আমরা নিঃস্ব, রিক্ত তখন করার কিছুই থাকে না। তখন আমরা বলি, ‘আমি তো নামাজ পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু কী কারণে পড়তে পারিনি?’ এই পারিনির কোনো প্রতিউত্তর আমাদের কাছে আসে না। এর কারণ হচ্ছে এটা শয়তানের সুক্ষ্ম একটা ধোঁকা। শয়তান আমাদের কখনো বলবে না, তুমি নামাজ পড়বে না। শয়তান বরং বলবে, তুমি কাল নামাজ পড়বে। এভাবে একের পর এক প্রত্যাশার ক্ষুদ্র জাল বিছিয়ে শয়তান আমাদের ধোঁকা দিয়ে ফেলে আর পার্থিব পৃথিবীকে আমাদের নিকট অনেক বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উপস্থাপন করে। আর শয়তানের ধোঁকা বুঝতে না পারার কারণে, এই ভ্রান্ত পথে চলতে চলতে এক সময় আমাদের প্রাণবায়ু বের হয়ে যায়। তখন পার্থিব পৃথিবীতে জয়ী হতে গিয়ে আমরা আমাদের আখিরাতে হেরে যাই। আর আমরা যখন আখিরাতে হেরে যাই, ঠিক তখন শয়তান তার কাঙ্ক্ষিত বিজয় লাভ করে।
সেই সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই আমরা মানুষ আর শয়তানের মধ্যকার এই ধোঁকা ও বিরোধ লক্ষ্য করে এসেছি। ‘যে ভাবেই হোক না কেন, শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করবেই’, এটাই হচ্ছে তার শপথ। যার কারণে, যে মানুষ যেমন, শয়তান তাকে ঠিক সে ভাবেই ব্যবহার করে। শয়তান কাউকে প্রত্যক্ষ ভাবে ভ্রষ্ট করে, আবার কাউকে পরোক্ষ ভাবে ভ্রষ্ট করে। দুনিয়া বিমুখের কাছে শয়তান যায় দুনিয়া বিমুখতার সুরতে। আলেমের কাছে যায় ইলমের দরজা দিয়ে। মূর্খের কাছে যায় অজ্ঞতার পথ ধরে। আর শয়তান সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা শয়তানের লক্ষ্যগুলো বুঝতে পারি না। সহজেই শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলি। আর এই সবকিছু ‘শয়তানের ফাঁদ’ পুস্তিকায় খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। শয়তানের এই নিখুঁত পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়ার সকল নির্দেশনও দেয়া হয়েছে এখানে।
পুস্তিকায় প্রথমে শয়তানের পরিচয়, আকিদা, বংশ ও কর্ম পদ্ধতি সম্পর্কে খুবই সুন্দর ও সহজ সরল আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে শয়তান তার কর্ম পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার জন্য মানুষের ভেতরে প্রবেশ করে তার ছয়টি উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উদাহরণগুলো এতটাই বাস্তব ও সত্য যে, উদাহরণগুলোর সত্যতা নিজের ভেতর দর্পণের ন্যায় প্রতিফলিত হতে দেখছি।
এরপর শয়তান কোন পথ দিয়ে আমাদের মাঝে প্রবেশ করতে চায় তার আটটি পথ দেখানো হয়েছে। এই আটটি টপিকের আবারো কিছু সাব টপিক ছিল, যার কারণে বুঝতে আরো সুবিধা হয়েছে।
এরপর কীভাবে শয়তার তার কাজে আঞ্জাম দিবে সেটার ছোট্ট ও যুগপৎ কয়েকটা উদাহরণ দেয়া হয়েছে।
সর্বশেষে শয়তানকে আমরা কীভাবে প্রতিকার করব, কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে তার বর্ণনা করা হয়েছে। যা প্রতিটি মুসলিমের জানা অত্যান্ত জরুরি। অন্তত নিজের ইমান টিকিয়ে রাখতে হলে জানতে হবে।
এককথায় একটি অবশ্য পাঠ্য পুস্তিকা।
.
.
◾পাঠ অনুভূতি:
আমি বরাবরই একটু বড় বই পড়তে পছন্দ করি। ছোট বই পড়ে কখনো তৃপ্ত হতে পারি না। তাই এই পুস্তিকাটা যখন হাতে পাই, তখন কোনো গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু পুস্তিকাটি ছোট্ট বলে আমার মায়ের আকর্ষণ হয়। গৃহিণী বলে কথা। সারাদিন কাজ কর্ম করে বড় বই পড়ার ধৈর্য হয় না। বইটি নেয়ার পর মাকে দেখেছিলাম খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে। তাই আমি মাকে বললাম, যেন সে পড়ার সময় জোরে জোরে পড়ে। মাও তাই করলো আর আমি বিস্ময়বিমূঢ় হয়ে শুনলাম। কারণ তখনো আমি শয়তানের ধোঁকা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না।
মায়ের মুখে শোনার পর, আরো পরিতৃপ্তির আশায় নিজেও পড়া শুরু করি। ওয়াল্লাহি! বইটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল কথাগুলো যেন শুধুই আমার জন্যই লেখা। পুস্তিকাটিতে এমন কোনো অংশ নেই যেটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। বিশেষত যারা নতুন দ্বীনে ফেরে, তাদের দিকে শয়তানের বিশেষ দৃষ্টি থাকে। তাদের প্রতি পদেপদে বিভ্রান্ত করা, ভুলকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা, নেক নিয়তে এসে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে শয়তানের অন্যতম কাজ। সদ্য দ্বীনে ফেরাদের ইলম সংকট থাকে। তাই শয়তানের এই সুক্ষ্ম ধোঁকা বুঝে উঠতে পারে না। তাই তাদের জন্য এই পুস্তিকাটি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
পুস্তিকাটি পড়ে মনে হয়েছিল আরেকটু বড় হলে মনে হয় আরো তৃপ্তি পেতাম। লেখকের সহজ-সরল বর্ণনা ভঙ্গি, কুরআন-হাদিসের রেফারেন্সের মাধ্যমে শয়তানের কৌশলগুলো বর্ণনা করা ও তার থেকে পরিত্রাণের পথগুলো মুগ্ধ করেছে।
অনুবাদক ও সম্পাদকদের ঈগল দৃষ্টি পুস্তিকাটির বানান নিখুঁত করেছে। অনেক সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত বানান ভুল করার কারণে পড়ার আগ্রহে ছন্দপতন ঘটে। এদিক থেকে পুস্তিকাটিতে কোনো ভুল চোখে পড়েনি।
যে কোনো শ্রেণীর পাঠকের জন্য উপযোগী ও প্রয়োজনীয় একটা পুস্কিকা। তাছাড়া এর বাইন্ডিং, পৃষ্ঠার কোয়ালিটি, কভার, লেখার ফন্ট ও নির্ভুল বানান পুস্তিকাটি পড়তে আরো উৎসাহী করে। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত পুস্তিকা। সর্বোচ্চ পঁচিশ মিনিট লাগতে পারে। পুস্তিকাটি পড়ার পর যা শিখলাম, সেটা এক কথায়, ‘সল্প সময়ে বিরাট অর্জন।’
.
.
◾ভালোলাগা মন্দলাগা:
ঐ যে আগেই বলেছি, ছোট হবার কারণে পূর্ণ তৃপ্তি পাইনি। তবে এটা কোনো মন্দ লাগার বিষয় না। বরং পুস্তিকা সম্পর্কে আমার ভালোবাসার প্রকাশ। এটা আমার অবুঝ মনের আকুতি। কারণ সিরিজ ছোট হওয়াই স্বাভাবিক। বরং বড় হলে সেটা অস্বাভাবিক হবে।
.
.
◾বইটি কেন পড়তে হবে?
কেমন হয়, যদি কেউ আমাদের সাথে শত্রুতা করার পরিকল্পনা করে, আর আমরা সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই জেনে প্রতিরোধ গড়ে তুলি? খু্বই দারুন না? হ্যাঁ। ঠিক তাই।
ইমান আমলের ধ্বংস করার জন্য শয়তানের একটা ছোট্ট চালই যথেষ্ট। এই পুস্তিকাটি পড়লে শয়তানের গতিবিধি, কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে আমরা অগ্রিম ধারণা পেয়ে যাব। পেয়ে যাব শয়তান থেকে নিজেকে হেফাজত করা পথ। তাই অন্তত নিজের ইমান আমল টিকিয়ে রাখতে হলে জানতে হবে শয়তানের সব কিছু। আর একটা প্রবাদ আছে, ‘জানতে হলে পড়তে হবে।’ হ্যাঁ। অবশ্যই শয়তান সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে হবে এই পুস্তিকা।
.
.
◾যবনিকা:
জীবনের পাতা অথবা বইয়ের পাতা, কলমের কালি কিংবা বই পর্যালোচনা। পৃথিবীর সমস্ত কিছুরই ইতি হয়। সবারই যবনিকা থাকে। আশা করব পুস্তিকাটি পড়ে সবাই উপকৃত হবে।
তাছাড়া আরো আশা করি শয়তান সম্পর্কে বিস্তর জানার জন্য প্রকাশনী বড় বই প্রকাশের উদ্যোগ নিবে। এটা উম্মাহর খেদমতে লাগবে ইনশাআল্লাহ।
যারা এত সুন্দর সিরিজ লেখার উদ্যোগ নিয়েছে, তাদের জন্য প্রাণ ভরে দু’য়া।
.
.
__________________________________
◾এক নজরে পুস্তিকা পরিচিতি:
নাম: শয়তানের ফাঁদ
লেখক: ড. আব্দুল্লাহ আল খাতির
অনুবাদ: মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল মাসউদ
প্রকাশনালয়: নুসুস পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা: ২৪
মুদ্রিত মূল্য: ৪০ টাকা
___________________________________
Farzana Ashrafi –
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কোরআনে একাধিকবার আমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
শয়তানের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান মানুষকে আল্লাহর নাফরমানি করিয়ে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করা। আর মুমিমদের কে ফাঁদে ফেলতে তো সে আরো বেশি তৎপর। সদা সর্বদা চ্যালা-চামুন্ডা নিয়ে বিশ্বাসের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে, কখন মুমিনদেরকে বিভ্রান্ত-বিপর্যস্ত করা যায়! এহেন ধুরন্ধর শয়তানকে পরাস্ত করতে হলে তার কৌশল সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। কারণ শত্রুকে কুপোকাত করতে হলে তার সবলতা-দুর্বলতা গুলোও নখদর্পণে রাখতে হবে।
আল্লাহ শয়তানের কূটকৌশল সম্বন্ধে আমাদেরকে শুধু সতর্কই করেননি, কোরআনে এবং হাদীসে শয়তানের নানা ফাঁদ, চক্রান্ত, কৌশল যেমন বর্ণিত হয়েছে তেমন এর থেকে বাঁচার পথও বাতলে দেয়া হয়েছে।
আমাদের কে শয়তানি চক্রান্ত থেকে সতর্ক করার লক্ষ্যে ‘নুসুস পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘শয়তানের ফাঁদ’ নামের একটি পুস্তিকা। শাইখ আবদুল্লাহ আল খাতিরের বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। সম্পাদনা করেছেন আবদুল্লাহ আল মাসউদ।
বইটা আকারে সংক্ষিপ্ত হলেও বিষয়ের বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শয়তানের পরিচয়, শয়তান বিষয়ে আমাদের আকীদা, শয়তানের বংশ, শয়তানের কর্মপদ্ধতি, শয়তানের প্রবেশপথ, দ্বায়িত্ব আঞ্জাম দিতে যারা শয়তানের সহযোগী, প্রতিকার। পুরো বইটিকে এই শিরোনাম গুলোতে সাজিয়ে কুরআন-হাদীসের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচ্য বিষয়গুলোই জানিয়ে দিচ্ছে শয়তানের ফাঁদ থেকে কিভাবে নিজেদের বাঁচাতে হবে তার জন্যই এই বই।
সৃষ্টির সূচনা থেকেই আমাদের চিরকালীন শত্রু শয়তানের একমাত্র লক্ষ্য মানুষকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ থেকে বিচ্যুত করা। ছলে-বলে-কৌশলে আল্লাহর অবাধ্যতা করিয়ে আল্লাহ এবং তাঁর বান্দার মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করা। শুধু কুফর, শিরক বা হারাম কাজ নয় অনেক সময় বৈধ কাজের দ্বারাও শয়তান ফাঁদ তৈরি করে। তখন ভাল মনেই সেই ফাঁদের চোরাবলিতে পা দিই আমরা।
চোরাবালি সদৃশ এই সমস্ত ফাঁদের হাত থেকে বাঁচতে হলে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। সেজন্যই এই পুস্তিকাটি পাঠ করা সবার জন্য আবশ্যক।